দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা পাখির বাসা দেখেছে। কিন্তু তাই বলে এতো বড় পাখির বাসা? এবার এমনই এক আজব কাণ্ড ঘটেছে। এক গাছের ওপর পাওয়া গেছে ২০ ফুট লম্বা পাখির বাসা!
আমরা পাখির বাসা দেখেছি। এসব বেশিরভাগ বাসা বানানো হয় গাছে। কিন্তু আপনি যদি সেই গাছের উপর দেখেন ২০ ফুট লম্বা আর ১৩ ফুট চওড়া একটি বাসা। তাহলে আপনি অবাক না হয়ে পারবেন না! ঠিক তাই ঘটেছে।
এমন একটি বিশাল বাসায় কি পাখি বসবাস করতে পারে? এখানে তো রীতিমতো বাঘ-ভাল্লুক থাকার কথা। কিন্তু জেনে অবাক হবেন সত্যিই ওই বাসায় পাখিই বাস করে। আবার মনে হতে পারে- তাহলে তো উট পাখির মতো বড় কোনো পাখি বাস করে নিশ্চয়ই? কিন্তু তাও নয়, এই বড় বাসা ‘বাংলো’ নিয়ে যে পাখি থাকে তার আকার ছোটো অনেকটা বাবুই পাখির মতোই!
পাখির এই বাসাটির ওজন ২ হাজার পাউন্ডের কিছু বেশি। এই ধরনের বাসা প্রায় ১শ’ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। বাসার উত্তরাধিকার বংশ পরম্পরায় পেয়ে থাকে অন্য পাখিরা- এমনটি জানা গেছে। পাখির পালক, মোটা ঘাস, বাতাসে ভেসে আসা তুলো, খড়কুটো আর গাছের ডাল ইত্যাদি দিয়ে নিজেদের বাসা তৈরি করে সোস্যায়েবল ওয়েভার (Sociable weaver) নামের এই পাখিগুলো।
তবে মাঝে মাঝে নতুন খড়কুটো দিয়ে মেরামত করতে হয় এই বাসাটি। তবে সমস্যা হলো বাসাটি অক্ষুন্ন থাকলেও অনেক সময় মারা যায় বাসাটিকে আশ্রয়দাতা গাছটি। এমনকি বাসার ওজনে ভেঙেও পড়ে মাঝে-মধ্যে।
জানা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে আজব এই পাখির বাস। এই অঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা প্রচণ্ড বেশি। আবার রাতে তার একেবারে উল্টো। তাদের এই বাসাই অতিরিক্ত গরম ও ঠাণ্ডা হতে সোস্যায়েবল ওয়েভারকে রক্ষা করে থাকে।
জানা যায়, এক একটি বাসায় একশ’র উপরে ছোট ছোট ঘর থাকে। একটি আস্তানায় ৩শ’ হতে ৪শ’ পাখির বসবাস। এর ভেতরে ছোট ছোট কুঠুরিতে পৃথক পৃথক পরিবার বসবাস করে। তবে বাইরের ঘরগুলো তুলনামূলকভাবে একটু ঠাণ্ডা। দিনের গরম হতে রক্ষা পেতে এইসব ঘরগুলোতে আশ্রয় নেয় ওই পাখিরা। বাসার মাঝখানের ঘরগুলো বেশি উষ্ণ। এভাবেই এতোবড় বাসা ওই ছোট্ট পাখিগুলো ব্যবহার করে। যা কল্পনা করলে বেশ আশ্চর্য লাগে।