দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে বিএনপি নেতা নিখোঁজ রহস্যের জট খুলতে যাচ্ছে। ভারতের মেঘালয়ের একটি মানসিক হাসপাতালে রয়েছেন সালাহ উদ্দিন। তাঁর স্ত্রী হাসিনা আহমেদ এ কথা জানিয়েছেন।
বিএনপির ‘নিখোঁজ’ যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ বর্তমানে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে একটি মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী হাসিনা আহমেদ আজ সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন। ১০ মার্চ তিনি নিখোঁজ হন।
আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে সাংবাদিকদের হাসিনা আহমেদ বলেছেন, ‘সালাহ উদ্দিন আহমেদ শিলংয়ের মিমহ্যানজ মেন্টাল হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই প্রথমে আমাকে ফোন করে বলেছেন আপনার স্বামী আপনার সাথে কথা বলবেন। এরপর আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলি।’ কণ্ঠ শুনেই বুঝতে পেরেছেন? এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘একশ বছর পর হলেও আমি আমার স্বামীর কণ্ঠ চিনবো।’
হাসিনা আহমেদ আরও বলেন, ‘উনি বলেছেন, আমি বেঁচে আছি। মোটামুটি সুস্থ আছি।’ সেখানে দ্রুত পৌঁছে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান হাসিনা আহমেদ। ভিসা করতে সরকারের সাহায্য লাগবে বলে জানান সালাউদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ।
‘নিখোঁজ’ হওয়ার ৬৩ দিন পর তাঁর খোঁজ পাওয়ার খবর পাওয়া গেলো পরিবারের পক্ষ হতে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনও এ ব্যাপারে কিছু জানে না বলে দাবি করছে।
সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ জানান, আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ভারতের কোনো একটি স্থান থেকে তাঁকে ফোন করেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
হাসিনা আহমেদ এরপর এ ব্যাপারে কথা বলতে দুপুরে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর গুলশানের বাসভবনে যান। সেখানে সাংবাদিকদের জানান ফোন করার কথা। এবং বলেন, পরে বিষয়টি আপনাদের জানাবো।
এদিকে বিষয়টি সম্পর্কে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মিডিয়া উইংয়ের কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেছেন, ‘আপনারা যেমন দেখেছেন, আমরাও তেমন দেখেছি। এ বিষয়ে আর কিছুই জানি না। উনি (হাসিনা আহমেদ) বলেছেন, সুতরাং কোথায় রয়েছেন, তা উনিই ভালো জানেন।’
উল্লেখ্য, রাজধানীর উত্তরার একটি বাড়ি হতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ১০ মার্চ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায়- এমন অভিযোগ করে থানা পুলিশের পাশাপাশি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন সালাহ উদ্দিনের পরিবার।