দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনকে ফিরিয়ে আনতে দুই দেশের পুলিশের মধ্যে যোগাযোগ চলছে। ইন্টারপোলের দিল্লি ডেস্কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ইন্টারপোলের বাংলাদেশ ডেস্ক।
বিএনপি নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদকে ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যেই ইন্টারপোলের দিল্লি ডেস্কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ইন্টারপোলের বাংলাদেশ ডেস্ক। গত বুধবার ইন্টারপোলের দিল্লি ডেস্কের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয় বাংলাদেশ ডেস্কের এক পুলিশ কর্মকর্তার। সালাহউদ্দিনকে গ্রেফতারের কথা নিশ্চিত করে দিল্লি হতে বলা হয়, সালাহউদ্দিন এখন মেঘালয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে একটি মামলা হয়েছে। চিকিৎসকদের অনুমতি পেলে তাকে আদালতে তোলা হবে।
পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহিদুল হক সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘ইন্টারপোলের মাধ্যমে কোন রেড নোটিস জারি করা হয়নি। কেবলমাত্র আমাদের ইন্টারপোল ডেস্ক হতে ইন্টারপোলের দিল্লি ডেস্কে যোগাযোগ করে সালাহউদ্দিনের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি আমরা। যেহেতু তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তার বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা হয়েছে। এই অবস্থায় সালাহউদ্দিনকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক তৎপরতা দরকার।’
মেঘালয় পুলিশের মহাপরিচালক রাজীব মেহতাকে উদ্ধৃত করে কোলকাতার ইংরেজী দৈনিক টেলিগ্রাফ বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। রাজীব মেহতা টেলিগ্রাফকে বলেছেন, সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি ফৌজদারি মামলা থাকার কথা জানিয়ে ইন্টারপোলের ঢাকা ইউনিট হতে তার ব্যাপারে তথ্য চেয়ে অনুরোধ পাঠানো হয়েছে। আমরা গত বুধবার ভারতের সিবিআইয়ের মাধ্যমে ওই নোটিসটি হাতে পেয়েছি। এরপর আমরা সিবিআইকে আমাদের উত্তরও দিয়েছি। তারা বাংলাদেশকে বিষয়টি জানাবে।
এদিকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে রাজ্য পুলিশের বিশেষ শাখার (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) কর্মকর্তারা। শিলং হতে বিবিসি বাংলার অমিতাভ ভট্টশালী বিবিসি-কে জানিয়েছেন যে, মেঘালয় পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের দু’জন কর্মকর্তা হাসপাতালের প্রিজন ওয়ার্ডে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে প্রায় দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তারা কী জানতে পেরেছেন তা প্রকাশ করা হয়নি।
তবে রাজনৈতিক মহলে একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তা হলো- বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অনেকটা হঠাৎ করেই নির্দিষ্টভাবে র্যাবের কাছে সালাহউদ্দিনকে ফেরত চেয়ে গত ১০ মে গণমাধ্যমে বিবৃতি দেন। এর ঠিক ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শিলংয়ে সালাহউদ্দিনের খোঁজ মিলে যাওয়া নিয়েও রাজনৈতিক মহলসহ বিভিন্ন মহলে চলছে নানা ধরনের জল্পনা। খালেদা জিয়ার বিবৃতির সঙ্গে দুই মাস যাবত নিখোঁজ সালাহউদ্দিনের সন্ধান পাওয়ার কোনো যোগসূত্র রয়েছে কি-না, তা নিয়ে বেশ কৌতূহল দেখা দিয়েছে। এছাড়া সালাহউদ্দিনের খোঁজ মেলার পর বিএনপির কৌশলীদের নীরবতাকেও রহস্যাবৃত্ত মনে করছেন অনেকেই।