দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিরোধী দলীয় জোটের ডাকা ভোর ৬টা থেকে ২টা পর্যন্ত দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। গাড়িতে আগুনসহ ব্যাপক সংঘর্ষের মধ্যদিয়ে এই অবরোধ পালিত হয়েছে। সর্বশেষ সংবাদে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জে অবরোধের সময় ১জন ও পুরান ঢাকার জজ কোর্ট এলাকায় বিরোধী দল ও সরকার সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর গণপিটুনিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
সকালে রাজধানীর মহাখালি রেলগেট সংলগ্ন একটি সিএনজি পাম্পের কাছে একটি টেম্পোতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া শাহবাগ, মতিঝিল, মিরপুরসহ বেশ কিছু স্থানে পিকেটিং হয়েছে। রাজধানীতে গাড়ির পরিমাণ খুবই কম দেখা গেছে। বেশির ভাগ মানুষকে রিক্সা কিন্বা ভ্যানে করে অফিস যেতে দেখা গেছে।
রাজধানীর মহাখালি রেলক্রসিং-এ তিতুমির ছাত্রদল সকাল ১০টায় রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে সমাবেশ করেছে। এসময় পুলিশকে নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়।এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছাত্রদলের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
খুলনায় হরতাল সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সেখানে সকালে বিএনপিসহ ১৮ দলীয় নেতা কর্মীরা মিছিল করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলেছে, মিছিল থেকে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ছুড়লে তারা মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস ছোড়ে। অবশ্য বিরোধী দলের নেতারা তা অস্বীকার করে বলেছে, শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বাধা দিয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানেও অবরোধ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে বলে স্থানীয় সংবাদদাতারা জানিয়েছেন।
ঈশ্বরদী থেকে আমাদের প্রতিনিধি জানান, সেখানে সকাল থেকেই বিরোধী দলের ডাকা অবরোধ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। শহরে কোন গাড়ি চলছে না। দূরপাল্লার কোন বাস ছেড়ে যায়নি। অন্যান্য হরতালের থেকেই কঠিনভাবে অবরোধ পালিত হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। (ছবি বিডিনিউজ২৪ডটকম)
সর্বশেষ
সিরাজগঞ্জে অবরোধের সময় ১জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নিহত ওয়ারেস আলীকে (৫৫) নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শাহিনুর আলম। তার বাড়ি এনায়েতপুরের জালালপুর গ্রামে। সিরাজগঞ্জে বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচির শুরুতেই মহাসড়কে প্রায় ৫০টি যানবাহন ভাংচুর করেছে ১৮ দলের নেতাকর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে তাদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।