দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যেহেতু প্রতিনিয়ত ব্যবহার করা লাগছে স্মার্টফোন ও ট্যাব। তাই এগুলোর ব্যাটারি ব্যবহারে বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। আজ সে বিষয়ে আলোচনা করা হলো।
স্মার্টফোন ছাড়া এখন আমাদের জীবন চিন্তাই করা যায় না। আবার ট্যাবও আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে। এগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রয়োজন সতর্কতা। কারণ প্রায়ই ব্যাটারি বিস্ফোরিত হয়ে দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। আবার ইলেকট্রিক শকেও আহত হন অনেকেই।
স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটের চার্জার ব্যবহার
স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটের চার্জার সব সময় আলাদা রাখুন। স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটে চার্জ দেওয়ার ক্ষেত্রে শেয়ারিং অ্যাডাপ্টার ব্যবহার করা থেকেও বিরত থাকুন। কারণ হলো, এদের চার্জিংয়ের জন্য আলাদা মাত্রার বিদ্যুৎ প্রযোজন। কমবেশি হলে দুটোই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
সারারাত ফোনে চার্জ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন
আমরা অনেক সময় রাতে শোবার সময় চার্জ দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। কিন্তু এটি মোটেও ঠিক নয়। সারারাত ফোনে চার্জ দেওয়াটা খুব ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। এতে করে অনেক সময় ব্যাটারি মাত্রাতিরিক্ত চার্জ হয়ে গরম হয়ে যায়। যে কারণে ব্যাটারির আয়ুস্কাল কমে যায়। দিনে বাড়তি সময়ে মনে করে ফোনে চার্জ দিতে হবে নির্ধারিত সয়য় যেমন ১ বা ২ ঘণ্টা। যতোটুকু প্রয়োজন শুধুমাত্র সেই সময় টুকুই চার্জে রাখা উচিত।
ফোন চার্জে দেওয়া অবস্থায় কথা বলবেন না
অনেক সময় চার্জ না থাকার কারণে আমরা ফোন আসলে চার্জের মধ্যে ঢুকিয়ে ফোনে কথা বলা শুরু করি। এটি মোটেও ঠিক নয়। ফোন চার্জে থাকার সময় ফোনে কথা বলা হতে বিরত থাকুন। চার্জিংয়ের সময় ব্যাটারি ক্রমেই গরম হতে থাকে, আবার কথা বলার সময়ও ব্যাটারি গরম হয়। মাত্রাতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যদি নিতান্তই কথা বলতেই হয় তাহলে ব্লুটুথ হেডসেট ব্যবহার করে কথা বলতে পারেন। তানাহলে চার্জার খুলে কথা বলুন। নিজের নিরাপত্তা নিজেকেই নিশ্চিত করতে হবে- এটি সব সময় মাথায় রাখবেন।
নিয়মিত ব্যাটারি বদলাতে হবে
আপনার স্মার্টফোনের চার্জ যদি তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে ব্যাটারির আয়ু প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। সেজন্য আপনাকে একটা ছোট পরীক্ষা করতে হবে। ব্যাটারিটা খুলে দেখুন সেটি ফোলা ফোলা লাগছে কি না? বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য সমতল পৃষ্ঠে ব্যাটারিটি রেখে ঘোরান। যদি ব্যাটারি ঠিকমতো ঘোরে, তাহলে বুঝবেন ব্যাটারির আয়ু শেষ। সেক্ষেত্রে ব্যাটারি বদলাতে হবে।
নন-ব্র্যান্ডের ব্যাটারি ব্যবহার করা যাবে না
আবার ব্যাটারি বদলাতে অর্থাৎ কেনার সময় সতর্ক থাকুন। মূল প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টার হতে অরিজিন্যাল ব্যাটারি কিনুন। নন-ব্র্যান্ডের ব্যাটারি ব্যবহার করা হতে বিরত থাকুন। কারণ এসব ব্যাটারি নিরাপদ কি না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই সেদিক থেকে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে।