দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুধু মানুষই কাঁদে না পশু-পাখিও কাঁদে। তবে কুকুর বা নেকড়ের কান্না আমরা আগেও শুনেছি। এবার শোনা গেলো এক পাখির কথা। কাঁদে এমন এক পাখির গল্প রয়েছে আজ।
যে পাখিটির কথা আজ বলা হচ্ছে সেটি নেকড়ের কান্নার মতো শব্দ করে কাঁদে ওই পাখি। শুধু তাই নয়, বাজসহ অন্য পাখিরা বিপদে পড়লে যেমন শব্দ করে, পুরোপুরি ঠিক তেমনটি অনুকরণ করে এই পাখি। অস্ট্রেলীয়ার ক্ষুদ্রতম পাখি বাদামি থর্নবিলের এমন কাণ্ড-কীর্তির মূল কারণ হলো নীড় (নিজবাসা) ও নিজেকে রক্ষা করা। থর্নবিল পাখিটি দেখতে অনেকটা চড়ুই পাখির মতোই।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে যে, এই বাদামি থর্নবিল পাখি সাধারণত অস্ট্রেলীয়ার পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও তাসমানিয়া অঞ্চলে দেখা যায়। এটি লম্বায় ৩ দশমিক ৪ হতে ১০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। মূলত এরা পোকা খেয়ে জীবন ধারণ করে। থর্নবিল পাখির পাঁচটি প্রজাতি রয়েছে। বাদামি ছাড়াও সাদা এবং ধূরস রঙের থর্নবিল অনেক সময় দেখা যায়।
অস্ট্রেলীয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক এই বাদামি থর্নবিল পাখির ওপর দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করে আসছেন। এই গবেষণা দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন গবেষক রবার্ট ম্যাগার্থ। গবেষকরা বাদামি থর্নবিলের বিভিন্ন শব্দ অনুকরণের বিষয়টি নিশ্চিত হন। গবেষকরা একটি স্টাফ করা পেঁচাকে বাদামি থর্নবিলের নিকটে নিয়ে এর প্রতিক্রিয়া রেকর্ড করেন।
গবেষক দলের প্রধান রবার্ট ম্যাগার্থ বলেন, ‘থর্নবিলের কাছে স্টাফ করা পেঁচা নেওয়ার পর, আমরা কিছু ভিন্ন পাখির শব্দ শুনতে পাই।’ কিন্তু বাদামি থর্নবিল ছাড়া কোনো পাখিই সেখানে ছিল না। পরে গবেষকরা নিশ্চিত হন বাদামি থর্নবিলই এসব শব্দ করছে।
পাখিকুলের মধ্যে অন্য প্রাণীর শব্দ নকলের বিষয়টি নতুন না হলেও নিজেকে বাঁচাতে অন্য প্রাণীর শব্দ অনুকরণের বিষয়টি নতুন বলে মনে করছেন গবেষকরা। তাছাড়া বাদামি এত ছোট পাখি হয়েও তার চেয়ে কয়েকগুণ বড় পাখি এবং পশুর শব্দ অনুকরণ বিস্ময়কর।
বাদামি থর্নবিল অন্য পাখি বা পশুর শব্দ অনুকরণে যথেষ্ট দক্ষ নয়, কিন্তু অন্য প্রাণীকে যেমন আকৃতিতে ৪০ গুণ বড় এমন পাখিকেও ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দিতে এরা যথেষ্ট- এমনটি মনে করছেন গবেষক দলটি।