দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ড্রোনের ব্যবহার দিনে দিনে বাড়ছে। এবার এমন এক ড্রোন আবিষ্কার করা হয়েছে যেটি পরীক্ষায় নকল ধরবে! নকল ঠেকাতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে যাচ্ছে চীন।
বিশ্বজুড়ে ড্রোনের ব্যবহার দিনকে দিন বাড়ছেই। চীনে পরীক্ষায় নকল বন্ধ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন। চীনের ন্যাশনাল কলেজ এন্ট্রান্স পরীক্ষায় নকল ঠেকাতে এবার ব্যবহার করা হবে এই প্রযুক্তি। চীনা ভাষায় এই পরীক্ষাকে বলা হয় ‘গাওকাও’। পৃথিবীর অন্যতম কঠিন এবং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বলা হয় এটিকে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চীনের হেনান প্রদেশের লুইয়াং শহরে দুই দিনের এই পরীক্ষায় ব্যবহার করা হবে আবিষ্কৃত এই ড্রোন। এই পরীক্ষায় অংশ নেবে প্রায় এক কোটি শিক্ষার্থী। পরীক্ষার্থীরা যাতে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন না করতে পারে, সেটি নিশ্চিত করবে এই ড্রোন।
জানা যায়, চীনের এ ধরনের পরীক্ষাগুলো অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক হয়ে থাকে। ২০১৪ সালে পরীক্ষায় পাস করতে না পেরে চীনে ৭৯ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটিয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষা হিসেবে এই পরীক্ষাগুলো নেওয়া হয়। কেবল এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা। তাই এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য নানা রকম প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে থাকে শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষায় নকল করতে ক্যামেরার সঙ্গে সংযুক্ত চশমা, কলমের সঙ্গে সংযুক্ত এয়ার ফোন, মোবাইল ফোন লুকানোর জন্য বিশেষ টি-শার্ট ব্যবহারের নজিরও রয়েছে চীনে।
শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় নানা ধরনের অসাদুপায় অবলম্বন করে থাকে
এমন এক পরিস্থিতিতে এসব উন্নত প্রযুক্তির নকল ঠেকাতে লুইয়াংয়ের রেডিও কর্তৃপক্ষ বিশেষ ড্রোন বানিয়েছে। এসব ড্রোন ১ হাজার ৬৪০ ফিট উপর হতে পরীক্ষার্থীদের ওপর নজর রাখবে। শুধু তাই নয়, ৩১০ মাইল দূর হতেও ছবি পাঠাতে পারবে এই ড্রোন!
ড্রোনের মাধ্যমে যদি কোনো শিক্ষার্থীকে অসদুপায় অবলম্বন করতে দেখা যায়, সেক্ষেত্রে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। বিচারে দোষী প্রমাণিত হলে সাজাও ভোগ করতে হবে। এমনকি নকল করলে পরের ৩ বছর আর এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না ওই নকলবাজ শিক্ষার্থী। এমন কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ। এখন দেখা যাবে ড্রোনকে ফাঁকি দিয়ে কিভাবে শিক্ষার্থীরা নকল করেন।