দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ বিশ্ব নিরাপদ কর্মস্থল দিবস। প্রতিবছর বিশ্বে ২০ লাখ শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় মারা যান। আহত ও কর্মহীন হয়ে পড়েন আরো ১২ লাখ শ্রমিক। এছাড়া পেশাগত কারণে সৃষ্ট রোগে আক্রান্ত হন ১৬ কোটিরও বেশি শ্রমিক। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) সূত্রে এ কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশেও পেশাগত দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গত একযুগে দেশে এই সংখ্যা তিনগুণ বেড়েছে। সর্বশেষ সাভারে ভবন ধসে তিন শতাধিক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা সেটাই প্রমাণ করে।
এই পরিস্থিতিতে আজ রবিবার পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব নিরাপদ কর্মস্থল দিবস’, প্রতিবছরই নিহত ও আহত কর্মজীবী মানুষের স্মরণে গোটা বিশ্বে দিবসটি গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘পেশাগত রোগ প্রতিরোধ’। নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত ও মর্যাদাপূর্ণ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ন্যায় আমাদের দেশেও দিবসটি গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিল্স’ গতকাল শনিবার সকালে ধানমন্ডির বিলস সেমিনার হলে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে। এসময় ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ড থেকে সুরক্ষা, প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতা ও প্রতিকার’ এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পেশাগত রোগে আক্রান্ত শ্রমিকদের ওপর পরিচালিত দুইটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
সাংবাদিক সন্মেলনে বিলস-এর ভাইস চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান ভূঞা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. জাফরুল হাসান, উপদেষ্টা রায় রমেশ চন্দ , সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সাংবাদিক সন্মেলনে রানা প্লাজা ধস ও কিছুদিন আগে তাজরিন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ সাম্প্রতিককালে দেশে পেশাগত দুর্ঘটনার শিকার ও রোগাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে এটা নিয়ন্ত্রণে এ ব্যাপারে দেশে ব্যাপক জনমত সৃষ্টি করা প্রয়োজন বলে মত দেওয়া হয়। তবে এ জন্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, প্রশাসনিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং জাতীয় শিল্প রক্ষা ও এর বিকাশ অপরিহার্য বলে বক্তারা মন্তব্য করেন।