দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন মুরগির কথা আমরা আগে কখনও শুনিনি বা দেখিনি। আজ এমনই এক কুৎসিত মুরগি ‘ড্রাগন’ কাহিনী রয়েছে আপনাদের জন্য।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, এই কুৎসিত মুরগির শরীরে লোমও তুলণামূলক কম। চোখ দুটো ঠিকমতো দেখায় যায় না। দেখলে মনে হবে পায়ে যেনো গোদ রোগ। এই কুৎসিত মুরগির নাম ড্রাগন। ভারী পায়ের কারণে নিজের ডিম হতে ঠিকমতো বাচ্চা ফোটাতেও পারে না এই ড্রাগন মুরগি!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এটিই নাকি বিশ্বের সবচেয়ে দামি এবং কুৎসিত চেহারার মুরগি। ভিয়েতনামের এই ড্রাগন মুরগিকে বলা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি মুরগি। ইতিপূর্বে ইন্দোনেশীয়ার আয়াম চেমানি নোমের এক জাতের কালো রঙের মুরগিকে সবচেয়ে দামি বলা হতো। এক জোড়া ড্রাগন মুরগির দাম ১,৬০০ পাউন্ড। যেটি বাংলাদেশের হিসাবে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৬৫.৮৫ টাকা।
জানা যায়, এই মুরগির মাংস নাকি খুব সুস্বাদু। হ্যানয় হতে প্রায় ২০ মাইল দূরে হাং ইয়েন প্রদেশের খোয়াই শাউ জেলা হতে ড্রাগন মুরগি নিয়ে সাধারণত বিভিন্ন রেস্তোরাঁতে ধনীদের জন্য রান্না করা হয়ে থাকে। এদের ওজন ৩ হতে ৫ কেজি হতে সময় লাগে মাত্র ৮ মাস থেকে ১ বছর। এই ড্রাগন মুরগির বৈশিষ্ট্য হলো- এদের পায়ে পুরু লালচে আবরণ পড়ে, যা একজন মানুষের কবজির মতো মোটা হয়।
ড্রাগন মুরগি সাধারণত সাদা রঙের হয়ে থাকে। একটি বড় মোরগের ওজন ৬ কেজির চেয়েও বেশি হতে পারে বলেও খবরে জানা গেছে। এই ড্রাগন মুরগির সাদা পালকের মধ্যে থাকে রঙিন পালক। তবে আবহাওয়া পরিবর্তন হলেই এই মুরগিগুলো নানা ধরনের অসুখে ভোগে।