দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একমাসের সিয়াম সাধনার পর এসেছে ঈদুল ফিতর। ঈদ ধনী-গরীব সকলের। আর তাই ঈদের আনন্দে মেতে আছে গোটা দেশ।
যার যতোটুকু সামর্থ রয়েছে তা নিয়েই আয়োজন করেছেন আজকের দিনটিতে। সকালে সেমাই-পায়েস খাওয়া এবং ঈদের নামাজ আদায় করা। তারপর কোলাকুলি। এরপর বড়দের কদমবুচি করা- আমাদের বাঙালিদের হাজার বছরের এক ঐতিহ্যে পরিণত। বিশেষ করে শিশুদের জন্য এটি আজকের এই দিনটি বড়ই আনন্দের দিন। নতুন জামা-কাপড় পরে সহপাঠীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আনন্দ করা ঈদের এক বিশেষ অংশ। যেটি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
তবে ঈদে শহরের থেকে গ্রামে আরও বেশি আয়োজন হয়। সেখানে শহর থেকে যাওয়া সন্তানদের সঙ্গে বৃদ্ধ বাবা-মা ঈদ করেন। এটি এক বড় আনন্দ। তাছাড়া নিজ গ্রামের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করার মজায় আলাদা। রাজধানী বর্তমানে মানুষশূন্য। রাস্তাঘাট ফাঁকা। গতকালও সকাল থেকে কিছু যানজট থাকলে বিকেল হতেই খালি হতে থাকে রাস্তাঘাট।
কমলাপুর রেলস্টেশন, সদরঘাটের লঞ্চ টার্মিনাল, গাবতলী বাস টার্মিনাল, মহাখালী বাসষ্ট্যান্ড, সাইদাবাদ বাসষ্ট্যান্ড সব স্থানে গতকাল রাত পর্যন্ত মানুষের আনাগোনা লক্ষ্য করা গেলেও আজ একেবারে ফাঁকা। যেনো এক নিঝুম পুরির মতো!
তবে আজ অপরাহ্নে রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে লোক সমাগম ঘটবে। অনেকেই নিজ সন্তান-সন্ততিদের নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে আসবেন শিশু পার্ক সহ রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। বিকেল থেকে রাত অবধী রাস্তা কিছু গাড়ি-গোড়া দেখা যাবে।
দেশব্যাপি পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দ আরও মধুময় ও সকলের জন্য কল্যাণ বয়ে আনুক। ধনী-গরীব সকলে মিলে-মিশে আজকের এই দিনটি অতিবাহিত করুক এটিই আমাদের সকলের একমাত্র প্রত্যাশা। সকলকে আবার ঈদের শুভেচ্ছা- ঈদ মোবারক।