দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিজ্ঞান ক্রমেই এগিয়ে চলেছে। বিজ্ঞানের বদৌলতে চিকিৎসাশাস্ত্রে প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। এবার গরুর হৃদপিণ্ডের ভালব মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপনের খবর পাওয়া গেছে!
বিজ্ঞান ক্রমেই এগিয়ে চলেছে। বিজ্ঞানের বদৌলতে চিকিৎসাশাস্ত্রে প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। এবার গরুর হৃদপিণ্ডের ভালব মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপনের খবর পাওয়া গেছে! আর এই গরুর হৃদপিণ্ডের ভালব হতে নতুন জীবন পেয়েছেন ৮১ বছরের এক বৃদ্ধা।
চেন্নাইয়ের ফ্রোনশিয়ার লাইফ লাইন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গতকাল রবিবার অস্ত্রোপচার করে গরুর বাল্বটি ওই বৃদ্ধার হৃদপিন্ডে প্রতিস্থাপন করেছে বলে এনডিটিভি খবরে বলা হয়েছে।
ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ড. কে এম চেরিয়ান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, যাদের মহাধমনীর সরু হয়ে যাওয়ায় অস্ত্রোপচারের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন এই পদ্ধতিটি সেরকম ওপেন হার্ট সার্জারির বিকল্প একটি পদ্ধতি বলা যায।
চিকিৎসকরা আরও বলেছেন, ১১ বছর আগে ওই বৃদ্ধার হৃদপিণ্ডের ভালব একবার প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু বছরের শুরুতে আবারও তার হৃদপিণ্ডে সমস্যা দেখা দেয়। আবার তার শ্বাসকষ্টের সমস্যাও হচ্ছিল। সে কারণে তিনি দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে গেলেও চিকিৎসকদের কাছে ইতিবাচক কোনো সাড়া পাননি।
গত এপ্রিলে তাকে চেন্নাইয়ের ফ্রোনশিয়ার লাইফ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন যে, তার মহাধমনীতে আগে যে ভালব প্রতিস্থাপিত করা হয়েছিল সেটি সংকীর্ণ ছিল। চিকিৎসকেরা বলেছেন, সাধারণত এই ধরনের সমস্যায় ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয় এবং পুরোনো ভালব সরিয়ে নতুন করে তা প্রতিস্থাপন করা হয়ে থাকে। কিন্তু রোগীর বয়স বেশি হওয়ার কারণে চিকিৎসকরা ‘ইনভেসিভ’ পদ্ধতি বেছে নেন। এরপর গরুর হৃদপিণ্ডের কলা বা টিস্যু দিয়ে তৈরি একটি জৈব-কৃত্রিম ভালব ব্যবহার করেন চিকিৎসকরা।
এর অর্থ হলো- পুরোনোটি বদলে নতুন করে ভালব প্রতিস্থাপন না করে, একটি নতুন ভালব পুরোনোটির মধ্যেই স্থাপন করা হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চারজন চিকিৎসকের একটি প্রতিনিধি দল এ অস্ত্রোপচার করেন। অস্ত্রোপচারের পর রোগীর অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে এবং তাকে সাধারণ ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।