দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইচ্ছা করলে মানুষ অসাধ্যকে সাধন করতে পারে। এমনই প্রমাণ করলেন মাত্র ১২ বছর বয়সের নিকোলা। তিনি আইকিউতে বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং কিংবা সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বিল গেটসকেও টপকালেন।
ইংল্যান্ডের এসেক্সের হার্লোয়ারের এই মেয়ে। নাম নিকোলা। বয়স মাত্র ১২ বছর। অথচ ১২ বছর বয়সেই জার্মান বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন, শতাব্দীর সেরা জীবন্ত ইংলিশ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং কিংবা বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বিল গেটসকে মেধায় ছাড়িয়ে যাচ্ছেন!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, ইংল্যান্ডের এসেক্সের হার্লোয়ারের এই মেয়ে নিকোলার ইংলিশ প্রতিষ্ঠান মেনসার আইকিউ টেস্টে স্কোর করেছে ১৬২’র মধ্যে ১৬২! অথচ আইনস্টাইন, বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং এবং বিল গেটসের স্কোর ছিল ১৬০।
আর তাই নিকোলাকে নিয়ে শুধু ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম নয়, বিশ্বব্যাপি আলোচনা শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে আইকিউ টেস্টের ফল প্রকাশের পর নিজের চোখকেই নাকি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না নিকোলা। বিস্ময়ভরা কণ্ঠে নিকোলা ইংলিশ দৈনিক মিররকে বলেছেন, ‘১৬২-র মধ্যে ১৬২, সত্যিই অবিশ্বাস্য ব্যাপার। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলাম বেশ কিছুক্ষণ।’
এই বিস্ময় বালিকা নিকোলাকে চোখবুঝে বলা যায় ‘গোবরে পদ্মফুল’। কেনোনা তার বাবা ৩৬ বছর বয়সী জেমস একজন নর্দমা পরিচ্ছন্নতাকর্মী। আবার তিনি জীবিকার তাগিদে কাজ করেন বাড়ি মেরামতেরও!
মেয়ের কৃতিত্বে গর্বিত হয়ে জেমস বলেছেন, ‘আমার মেয়ের সাফল্যই বলছে- মেধাবীরা আসতে পারে সমাজের যেকোনো পর্যায় থেকেই।’
অবশ্য জেমসের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে নিকোলার মা ডলি বাকল্যান্ডের। মেয়ের সাফল্যে জেমসের মতো খুশি তার মা ডলিও।
সংবাদ মাধ্যমকে ডলি বলেছেন, ‘সেই ছোট্টটি হতে ম্যাগাজিন বা বইয়ের ভুল ধরতো ও। আমার মেয়েটা ভীষণ পরিশ্রমী। স্কুল শেষে হোমওয়ার্ক ক্লাবে মিস করেনি একটি দিনও। পড়াশোনার পাশাপাশি আবার গান আর নাটকে অভিনয় করাটাও নিকোলার পছন্দের বিষয়।’ পড়াশোনা শেষে ভবিষ্যতে নিকোলা ডাক্তার হতে চান বলে ‘মিরর’কে বলেছেন তার মা ডলি।
উল্লেখ্য, বিখ্যাত ইংলিশ প্রতিষ্ঠান মেনসা’র বিশ্বব্যাপী সদস্য ১ লাখ ১০ হাজার। ইংল্যান্ডে এর সংখ্যাটা ২০ হাজারের মতো। এদের মাত্র ৮ শতাংশ সদস্যের বয়স ১৬ বছর। গড় একজন মানুষের আইকিউ স্কোর থাকে ১০০। কারো স্কোর ১৪০ হলে বলা হয়ে থাকে সে ‘জিনিয়াস’। কিন্তু নিকোলার স্কোর ১৬২’র মধ্যে ১৬২! তাকে ‘সুপার-জিনিয়াস’ বলা হলেও কি ভুল বলা হবে?