দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের রুলে ফেলানী হত্যা মামলা কেনো এতোদিন নেওয়া হয়নি তা জানতে চাওয়া হয়েছে দেশটির সরকার ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কাছে।
ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের রুলে ফেলানী হত্যা মামলা কেন এতোদিন নেওয়া হয়নি তা জানতে চাওয়া হয়েছে দেশটির সরকার ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কাছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতীয় মানবাধিকার সংগঠন ‘বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ’র (মাসুম) সম্পাদক কৃতি এই রায়ের বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে জানান।
তিনি জানিয়েছেন, আমাদের সংগঠন এবং ফেলানীর বাবা সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন করে। সপ্তাহ খানেক আগে এর কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট মামলা না নেওয়ার কারণ জানতে চেয়েছেন বিএসএফ এবং স্টেট গর্ভনমেন্ট অব ইন্ডিয়ার কাছে।
মানবাধিকার কর্মী কৃতি রায় আরও জানান, সুপ্রিম কোর্ট সরকারের কাছে জানতে চেয়েছেন, কেনো এতোদিন মামলা নেওয়া হয়নি। অনেকদিন ধরেই ফেলানি হত্যার বিচারের নামে অবিচার চলছিলো বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয় ভারতের কোচবিহারের বিএসএফ’র বিশেষ আদালত। পরে বিজিবি-বিএসএফর দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকের সিদ্ধান্তে গতবছরের ২২ সেপ্টেম্বর ফেলানী হত্যা মামলার পুনর্বিচার কার্যক্রম শুরু করে বিএসএফর বিশেষ আদালত। কয়েক দফা মুলতবির পর এ বছরের ৩০ জুন বিএসএফর বিশেষ আদালতে পুনর্বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। ভারতের কোচবিহারে বিএসএফর বিশেষ আদালতে কঠোর গোপনীয়তায় তিন দিন বিচারিক কার্যক্রম চলার পর ২ জুলাই আগের রায় বহাল রেখে ফেলানী হত্যা মামলার পুনর্বিচারের রায় ঘোষণা করে। এই রায়ে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে আবারও বেকসুর খালাস দিয়ে আগের রায় বহাল রাখে বিএসএফ’র বিশেষ আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ফুলবাড়ীর অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হয় বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী। প্রায় ৬ ঘণ্টা কাঁটাতারের সঙ্গে ফেলানীর লাশ ঝুলে থাকায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো সমালোচনার ঝড় তোলে। আন্তর্জাতিক চাপে শেষ পর্যন্ত বিষয়টি মামলা পর্যন্ত গড়ায়।