দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি এমন একটি খবরে সকলেই বিস্মিত না হয়ে পারেনি। কারণ হলো এক পর্বতারোহীর ক্যামেরায় ভয়ঙ্কর প্রেতাত্মার ছবি নাকি ধরা পড়েছে! এও কি সম্ভব?
ব্রিটেনভিত্তিক ডেইলি মেইল একটি প্রতিবেদনে বলেছে, এক পর্বতারোহীর ক্যামেরার কিছু ছবিতে ভূত ও প্রেতাত্মা দেখা যাচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। একজন পর্বতারোহী দাবি করেছেন, তিনি এবং অপর এক নারী অস্ট্রেলীয়ার এক আত্মহত্যাবহুল এলাকায় অভিযানে বেরিয়েছিলেন, বিচিত্র কোনো ক্ষমতাবলে যিনি প্রেতাত্মাদের দেখতে পান বলে দাবি করে থাকেন।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এই জায়গাটি অস্ট্রেলীয়ার কুইন্সল্যান্ড প্রদেশের প্রত্যন্ত একটি অঞ্চল। এটি একটি দুর্গম পার্বত্য এলাকা। ওই পর্বতারোহী প্রেতাত্মার ছবিটি তুলে তুবুম্বা গোস্ট চেজার নামক একটি ফেসবুক পাতায় প্রকাশও করেন। ওই পাতায় এ ধরনের অস্বাভাবিক ছবি প্রকাশ করা হয়ে থাকে। পর্বতারোহী আলোকচিত্রীর নাম ব্রক ডেভিড। সম্প্রতি এক বিকেলে ওই স্থান অতিক্রমকালে তিনি মৃত ডালপালার স্তুপের আড়ালে আত্মগোপন করতেই ওই স্বচ্ছ লোকটিকে ক্ষণকালের জন্যে দেখতে পান বলে তিনি দাবি করেছেন। জানা যায়, কুইন্সল্যান্ডের ওই অঞ্চলটি জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণ মানুষরা, নির্জনে আত্মহননের স্থান হিসেবে বেছে নেন।
তবে এই ছবিটি প্রকাশের পর ফটোশপড করে কারুকার্য করে সাজানো কোনো ছবি কিনা তা যাচাই করতে উঠেপড়ে লাগেন অনেকেই। তবে বিভিন্নভাবে যাচাই করার পর অবশেষে ছবিটিকে ‘সত্য’ ও ‘কোনো সম্পাদনা করা হয়নি’ বলেই মনে করা হচ্ছে। আরেক নারী ওই একই ছবির ভেতর আরও ৪টি পৃথক জায়গায় মৃত আত্মাদের দেখতে পাচ্ছেন। বোঝার জন্য তিনি জায়গাগুলো লাল কালিতে দাগিয়ে দিয়েছেন। তিনি চ্যালেঞ্জ করেছেন যে, যদি কেও পারে, তো তাকে ভুল প্রমাণ করুক।
ওই ছবিগুলো অনলাইন মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। যে কারণে বিষয়টির সত্য-মিথ্যা নিয়ে আলোচনার পর্যায়ে এখন আর নেই। আসলে ওই প্রেতাত্মারা কি মানুষের ক্যামেরায় ধরা পড়া সম্ভব? সে প্রশ্নই এখন দানা বেঁধে উঠেছে।