দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন কথা আমরা আগে কখনও শুনিনি। আজ এমন একটি খবর সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। মৃত কয়েদির মাংস কয়েদি খায় এমন এক কারাগারের সন্ধান পাওয়া গেছে!
গা শিউরে উঠার মতো ঘটনা। মৃত কয়েদির মাংস কয়েদি খায় এমন এক কারাগারের সন্ধান পাওয়া গেছে! এটি হলো রুয়ান্ডার গীতারামা কারাগার। এই কারাগারটি বিশ্বের অন্যতম একটি প্রাণঘাতী কারাগার নামে পরিচিত।
এমন প্রাণঘাতী কারাগারে থাকা যে কারোর জন্যই দু:স্বপ্ন ছাড়া আর কিছু নয়। জি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গীতারামা কারাগারে সর্বোচ্চ ৬শ জনের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এই কারাগারে প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার আসামি আটক রাখা হয়েছে।
আর খুব স্বাভাবিক কারণেই গীতারামা কারাগারের কয়েদিরা সবসময়ই স্থান সংকটে কষ্টকরভাবে বসবাস করে। তারা বেশিরভাগ সময়ই নিজেদের মধ্যে মারামারি-বিবাদে জড়িয়ে থাকে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় তারা বেঁচে থাকার জন্য একে অন্যকে খুন করে। আবার ওই মৃত কয়েদির মাংস তারা খায়।
এক প্রতিবেদনে আরও ভয়ংকর তথ্য উঠে এসেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিদিন এ কারাগারে নৃশংসভাবে খুন হয় ৭/৮ জন কয়েদি! স্থানীয় মানবধিকার সংস্থাগুলো গীতারামা কারাগারের এমন শোচনীয় অবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন করলেও অবস্থার কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। যা ছিল তাই রয়ে গেছে।