দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঈদের আর একদিন বাকি। ইতিমধ্যে মার্কেটগুলোতে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা বেশ জমে উঠেছে। যদিও কোরবানী ঈদ হওয়ায় জামা-কাপড় কেনার দিকে মানুষ ঝুঁকছে কম।
ঈদ করতে বাড়ি যাওয়ার কারণে রাজধানী এখন অনেকটাই ফাঁকা হয়ে এসেছে। রাজধানীর সড়কগুলোও এখন প্রায় ফাঁকা। তবে যেসব অঞ্চলে মার্কেট সেসব এলাকা বিশেষ করে নিউমার্কেট, ধানমণ্ডি, মৌচাক, মিরপুর-১, ১০ সহ বেশ কিছু এলাকার সড়কগুলোতে যানজট রয়েছে। তবে অন্যান্য এলাকায় যেমন মতিঝিলসহ বেশ কিছু এলাকা এখন প্রায় ফাঁকা। একমাত্র বেসরকারি কিছু অফিস খোলা রযেছে। সরকারি ছুটি কাল (বৃহস্পতিবার) থেকে শুরু হলেও আজও লঞ্চঘাট, বাস টার্মিনাল ও কমলাপুর রেলস্টেশনে ভিড় দেখা গেছে। গত দুদিন ধরে বেশির ভাগ মানুষ রাজধানী ছেড়েছেন। যাদের আগে থেকে টিকিট কাটা ছিল একমাত্র তারা এখনও রাজধানীতে রয়েছেন। তারা আজ ও আগামীকাল রাজধানী ছাড়বেন।
রাজধানীর শপিং মলগুলোতে ভিড় রয়েছে এখনও। নিউ মার্কেট এলাকাতে ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানে ক্রেতাদের ভিড়। বিশেষ করে চাঁদনিচক চকের সোনার দোকাতেও ভিড় লক্ষ করা গেছে। অপরদিকে ধানমণ্ডির রাপা প্লাজাসহ আড়ং এরও ভিড় ছিল লক্ষ্য করার মতো। তবে আড়ং এ গিয়ে দেখা গেছে, অনেক ভালো আইটেম শেষ হয়ে গেছে। অনেকেই অনলাইনে দেখে কিনতে গিয়ে ফিরে এসেছেন। বিশেষ করে ছোটদের পোশাক বেশি বিক্রি হয়েছে এবার। দাম তুলনামূলক বেশি হলেও হন্যে হয়ে অনেকেই পোশাকের জন্য এ মার্কেট থেকে ও মার্কেটে ঘুরেছেন। তবে সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে মৌচাক মার্কেটে গিয়ে। কারণ ফ্লাইওভারের কারণে মৌচাক মার্কেটের রাস্তা প্রায় বন্ধ থাকায় দূর-দূরান্ত হতে ক্রেতারা মৌচাক মার্কেটে যেতে পারেননি।
বসুন্ধরা মার্কেটে গতবারের মতো এবারও ভিড় ছিল বেশ লক্ষ্য করার মতো। যদিও উচ্চ শ্রেণীর জন্য এই মার্কেট। তবে মধ্যবিত্তরাও কম যান না এখানে। অনেক মধ্যবিত্তকেও দেখা গেছে মার্কেট করতে অভিজাত এই শপিং মল বসুন্ধরা সিটিতে।
এসব মাকের্টগুলোতে শাড়ি, পাখি থ্রিপিস, বাচ্চাদের পোশাক, মহিলাদের গহনা এবং এমিটেশন সামগ্রীর দোকানগুলো বেশি ভিড় রয়েছে। তবে কোরবানী ঈদ হওয়ায় কেনা-কাটা একটু কম। কারণ গরু কেনায় ব্যস্ত সবাই। তবুও যাদের সামর্থ রয়েছে তারা ভিড় করছেন মার্কেটগুলোতে।