দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে ফেসবুক শব্দটি বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে। বর্তমান প্রজন্ম এক কথায় ফেসবুকে আসক্ত। সেই সূত্র ধরে এবার শিশুদের মধ্যে আলোড়ন তুলতে যাচ্ছে ফেসবুক। এবার শিশুরা খাবে ফেসবুক!
এখন শিশুদের হাতে হাতে থাকবে ফেসবুক। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের শিশুরা প্যাকেট খুলছে আর একে একে কুড়মুড় চিবিয়ে খাচ্ছে এই ফেসবুক! এমন একটি স্ন্যাকস বানিয়েছে পাকিস্তানের একটি প্রতিষ্ঠান। চিপসের মতোই কুড়মড় করে চিবিয়ে খাচ্ছে শিশুরা এই ফেসবুক স্ন্যাকস!
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় দারুণ জনপ্রিয় স্ন্যাকসে পরিণত হয়েছে এই ‘ফেসবুক’ স্ন্যাকস। তবে এই ‘ফেসবুক ব্যবসা’র খবর এখনও জানে না আসল ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক-এর নাম দিয়ে ব্যবসা করে চলছে এই প্রতিষ্ঠানটি।
আবার পাকিস্তানী এই প্রতিষ্ঠানটির প্রচারণা কৌশলও ভিন্ন প্রকৃতির— ‘লাইক, শেয়ার এ্যান্ড ইট’। ব্যস, এই স্লোগানেই মাতোয়ারা হয়েছে সেখানকার শিশু-কিশোররা। শুধু শিশুরাই নয় তরুণরাও হরদম খাচ্ছেন এই ফেসবুক চিপস।
ফেসবুক স্ন্যাকসটির প্রস্তুতকারক আজমল খান বলেছেন, ‘তরুণ ও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ফেসবুকের জনপ্রিয়তাকে মাথায় রেখেই আমরা এই নামে আমাদের স্ন্যাকসের নামকরণ করেছি। আমাদের এই পরিকল্পনা দারুণ কাজে দিয়েছে। আমাদের এই পণ্যের বিক্রি এখন আকাশছোঁয়া।’
শিক্ষার্থী আবিদ আলী বলেন, ‘আমরা মজা করে ফেসবুক চিপস কিনি। আবার প্রায়ই ফেসবুক ব্যবহারের সময় এটি খেয়ে থাকি।’ ফেসবুক ওয়েবসাইটের মতো স্ন্যাকসও অনেক জনপ্রিয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ফেসবুক চিপস দ্রুত জনপ্রিয় হওয়ার আরেকটি কারণ হলো কমমূল্য। বিনামূল্যে ব্যবহৃত ফেসবুক ওয়েবসাইটের মতো চিপসটি বিনামূল্যে বিতরণ করা না হলেও এটির মূল্য অন্য স্ন্যাকসগুলোর তুলনায় অনেক কম। পাকিস্তানের স্থানীয় মুদ্রায় তা ৫ রুপি মাত্র। যে কারণে ক্রেতাদের মধ্যে আরও বেশি প্রভাব পড়েছে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের উপজাতীয় অঞ্চলটিতে স্ন্যাকসের এই ধরনের নামকরণ এটিই প্রথম নয়। বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে ‘লোডশেডিং’ নামেও একটি স্ন্যাকস বের করা হয়। অপরদিকে খাইবার পাখতুনখাওয়ায় নিয়মিত মার্কিন ড্রোন হতে হামলা চালানো হয়ে থাকে বলে সেখানে বাজারে ছাড়া হয়েছে ‘ড্রোন বাবা’ নামে একটি স্ন্যাকসও!