দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফেসবুকের মতো এতোটা জনপ্রিয় না হলেও তার থেকে কোনো অংশে কম এগিয়ে নেই টুইটার। কিন্তু ১৪০ অক্ষরের বেশি টুইট করা যায় না এটিতে। আজ জানুন এর ৫টি কারণ।
টুইটার হচ্ছে সারা বিশ্বে মাইক্রোব্লগিং সাইট হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত। তবে টুইটারে ফেসবুক কিংবা গুগল প্লাসের মতো ইচ্ছা মতো বড় বড় পোস্ট দেওয়া যায় না। খুবই সংক্ষিপ্ত পোস্ট দিতে হয় এটিতে অর্থাৎ ১৪০ ক্যারেক্টারের মধ্যে। টুইটারের অনেক ব্যাবহারকারী অসন্তুষ্ট। তারা এটিকে টুইটারের সীমাবদ্ধতা বলে অভিযোগ করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। তারা টুইটারের পোস্টের আকার আরও বড় করার দাবি জানিয়ে আসছেন।
টুইটারে কেনো এই সীমাবদ্ধতা? সে সম্পর্কে সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জ্যাক ডোরসে এর ৫টি কারণ ব্যাখ্যা করেছেন।
এক. টুইটার আসলে সংক্ষিপ্ততা ও সময়ে বিশ্বাসী। অর্থাৎ যখনই ঘটনা, ঠিক তখনই টুইট। যদি ১৪০ অক্ষরের বেশি টুইটের অনুমতি দেয়, তাহলে ছোট ছোট টুইটের পরিবর্তে সকলকে বড় বড় রচনা পড়তে হবে, যেটি টুইটের ধারাবাহিকতা নষ্ট করবে।
দুই. টুইট যদি ১৪০ অক্ষরের বেশি হতো, তাহলে টুইটারকে আরেকটি ফেসবুকের মতো মনে করা হবে। প্রতিষ্ঠার ১১ বছর পর এসে ফেসবুকের একটি স্বতন্ত্র চেহারা কিংবা ধরল রয়েছে। টুইটার এখন যেরকম রয়েছে, তাতেই ভালো রয়েছে। টুইটের আকার বড় করার চাইতে এর কার্যকারিতা আরও বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া উচিত টুইটারের।
তিন. টুইটের আকার আরও বড় করার চেয়ে এটি নিশ্চিত করা বেশি জরুরি। ছবি বা কোনো লিংক যাতে ক্যারেক্টার লিমিটের আওতায় না পড়ে। এতে করে ব্যাবহারকারীরা আরও বেশি সন্তুষ্ট হবে। তারা তাদের বার্তা আরও স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে পারবেন। এটি করতে পারলে, টুইটার ফেসবুকের চেয়েও অধীক জনপ্রিয় হতে পারে।
চার. টুইটার যদি টুইটের আকার বড় করে, সেক্ষেত্রে এর অবস্থা হবে গুগল প্লাসের মতোই। অর্থাৎ এর নিজস্ব কোনো ধরণ আর থাকবে না। তখন পরিচয় সঙ্কটে পড়বে। প্রত্যেকেরই একটা নিজস্ব সত্তা রয়েছে। যেমন- নতুন নতুন মানুষ অথবা বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে সংযোগ করে দিয়ে ফেসবুকের পৃথক একটা চরিত্র দাঁড়িয়ে গেছে। যেমন- ইন্সটাগ্রাম ছবি শেয়ারের জন্য বিখ্যাত, টাম্বলার ব্লগিংয়ের জন্য অসাধারণ। আর টুইটার এক বাক্যে মূল তথ্যটা শেয়ার করার জন্য অধিক সুপরিচিত। তাই টুইটার যদি টুইটের আকার বড় করে, সেক্ষেত্রে একে গুগল প্লাসের মতো ভাগ্য বরণ করে নিতে হবে।
পাঁচ. বর্তমানে ফেসবুকের মাধ্যমেও টুইটারে পোস্ট করা যায়। ফেসবুকের কোনো পোস্ট যদি ১৪০ অক্ষরের বেশি হয়ে যায়, তাহলে টুইটার সয়ংক্রিয়ভাবেই ফেসবুকের ওই পোস্টটির লিংক যুক্ত করে দেয়। যদিও এটি ব্যাবহারকারীদের খুব একটা সুবিধার বিষয় নয়। তবে ১৪০ অক্ষরের মধ্যেই টুইট করতে হবে। এজন্য বেশিরভাগ মানুষই সঠিক যথার্থ বার্তাটিই অল্প কথায় দিয়ে থাকে। প্রয়োজন ছাড়া অযথা কোনো বাক্য খরচ করে না।