দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গর্ভস্থ শিশু আকারে বড় হতে থাকবে‚ ফেটে যেতে পারে ফুসফুস এবং হৃদযন্ত্র- এমন আশংকা থাকলেও ৩ সন্তানের জননী বিশ্বের ‘ক্ষুদ্রতম মা’ আবারও সন্তানের জন্ম দিতে চান!
চিকিৎসকরা তাকে সতর্ক করেছিলেন। বলেছিলেন, গর্ভধারণ করলে গর্ভস্থ শিশু আকারে বড় হতে থাকবে‚ এমনকি ফেটেও যেতে পারে তার ফুসফুস কিংবা হৃদযন্ত্র। তারপরও থেমে যায়নি মা হওয়ার অদম্য ইচ্ছা। প্রাণের ভয়কে তুচ্ছ করে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন বিশ্বের ‘ক্ষুদ্রতম মা’ ২ ফিট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার স্টেসি হেরাল্ড। তিনি এখন বিশ্বের ক্ষুদ্রতম মা হিসেবে স্বীকৃত। শুধু তাই নয়, আমেরিকার কেন্টাকির বাসিন্দা স্টেসি জানিয়েছেন যে‚ তিনি ভবিষ্যতে আরও সন্তানের জন্ম দিতে চান।
স্টেসি হেরাল্ড জন্ম হতেই বিরল জিনঘটিত অসুখ Osteogenisis Imperfecta-এ আক্রান্ত। যে কারণে তার ভঙ্গুর হাড়ের গঠন স্বাভাবিক নয়। ৪১ বছর বয়স্ক স্টেসির উচ্চতা থেমে রয়েছে ২ ফিট ৪ ইঞ্চিতেই। অবশ্য তার স্বামী উইল সম্পূর্ণ সুস্থ। তার স্বামীর উচ্চতা ৫ ফিট ৯ ইঞ্চি। তিনটি সন্তান নিয়ে এই দম্পতির সুখের সংসার। বেশ হাসিখুনি জীবন-যাপন করছেন তারা।
এই দম্পতির প্রথম দুই সন্তান মেয়ে কাটেরি ও মাকায়া। এদের মধ্যে মাকায়া সুস্থ। কিন্তু কাটেরি মায়ের মতো একই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আবার রেহাই পায়নি তৃতীয় সন্তান পুত্র মালাচিও। কাটেরি-মালাচি এই দু’ভাই বোনের বৃদ্ধি অস্বাভাবিক। তাদের হাড় মায়ের মতোই ভঙ্গুর। তাই নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই উইল-স্টেসি দম্পতির। আর তাই তাদের ইচ্ছা‚ ভবিষ্যতে আরও সন্তানের বাবা-মা হওয়ার। তারা অনেকগুলো সন্তান নিয়ে সুখে-শান্তিতে জীবন-যাপন করতে চান। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার কি ইচ্ছা তা দু’টি সন্তানকে দেখে বোঝা যাচ্ছে। তবে অদম্য ইচ্ছা-শক্তির কাছে কী সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছার পরিবর্তন ঘটবে না?