দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তালেবানদের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে মেয়েদের চাকরির ওপর। তাতে আরও কড়াকড়ি করতে বলা হয়েছে, ‘মেয়েরা চাকরি করলেই খুন কিংবা ধর্ষণ’!
এমন কথাও এই আমলে শুনতে হচ্ছে। ঘটনাটি আসলেও সত্যি। এটি আফগানিস্তানের কথা। সেখানকার তালেবানরা ঘোষণা করেছেন যে, মেয়েরা চাকরি করতে ঘরের বাইরে যেতে পারবে না। গেলেই মহা বিপত্তি।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, আফগান মুলুকের সব তালেবান মুক্তাঞ্চলেই এখন চাকুরিজীবী মহিলাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বাড়ি বাড়ি। তালেবানের কড়া নির্দেশ, স্বামীর সঙ্গে ছাড়া বাড়ির চৌকাঠ পেরুবে না কোনো মেয়ে মানুষ। চাকরি করাও চলবে না কিছুতেই। নির্দেশ না মানলেই মৃত্য। মেয়েরা যাতে আয়-রোজগার করতে না পারেন, সেটি নিশ্চিত করতে তালেবানরা এতটাই কঠোর যে, সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় মায়েদের পাশে থাকেন যে আয়া, তাদের পেশার ওপরেও রয়েছে তালেবানদের নিষেধাজ্ঞা।
খবরে বলা হয়েছে, যে মেয়েরা ফতোয়া না মেনে চাকরি করতে যাবেন তাদের হয় খুন হতে হবে, না হলে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে বন্দিশিবিরে। সেখানে তালেবান ‘যোদ্ধা’রা বন্দি মহিলাদের ধর্ষণ করছে বলে দাবি করেছে একটি মহিলা পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তালেবানরা কুন্দুজে মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত বেশ কয়েকটি রেডিও স্টেশনও তছনছ করা হয়েছে। যে সব অফিসে মেয়েরা চাকরি করেন, সেখানেও হামলা চালানো হয়েছে। লুঠতরাজ চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে মেয়েদের অনেক স্কুল। মহিলাদের সাহায্যার্থে গড়ে ওঠা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোকে সমূলে বিনাশ করা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে সংবাদ মাধ্যমের খবরে আরও বলা হয়েছে, তালেবানের ভয়ে অথবা আত্মীয়-পরিজনদের হাতে ‘অনার কিলিং’ -এর আতঙ্কে আফগানিস্তানের অনেক মেয়ে বর্তমানে ঘরছাড়া। কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এসব পলাতক মেয়েদের নাকি আশ্রয় দিচ্ছে। তবে কুন্দুজ কিংবা কান্দাহারে এইসব আশ্রয় শিবির চালানো অসম্ভব ব্যাপার। এইসব অঞ্চলে যে কোনো সময় হানা দেয় ঘাতক বাহিনী। তারা এসব আশ্রয় শিবির তছনছ করে, আশ্রিতাদের ধর্ষণ এমনকি খুনও করে। তাই অসহায় মেয়েদের উদ্ধার করে এখন কাবুল কিংবা তার কাছাকাছি কোথাও পাঠিয়ে দেওয়ার কাজ করছে এসব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো। তবে কতদিন এভাবে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখা যাবে তা নিশ্চিতভাবে বলতেও পারছেন না কেও। কতদিন চালাবে তালেবানদের সঙ্গে এই লড়াই তা কেও জানেন না।