দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পুরো কোলকাতায় যেনো জয়-জয়াকার পড়ে গেছে বাংলাদেশের এই সময়ের অভিনেত্রী জয়া আহসানের। এক কথায় বলতে গেলে পুরো কোলকাতা মাত করেছেন জয়া।
কোলকাতায় এতে বাঙালি অভিনেত্রীর ভিড়ে কেনো বাংলাদেশের একজন অভিনেত্রীর এতো জয়-জয়াকার পড়ে গেলো? এই প্রশ্ন আসতেই পারে। কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে তাই মনে হয়েছে। এর একটি কারণ হলো, ‘রাজকাহিনী’ ছবির উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে জয়া আহসান, কাঞ্চন মল্লিক এবং এনা সাহাসহ অনেকের মধ্যে বাংলাদেশের অভিনেত্রী জয়া আহসানের অভিনয়ে মুগ্ধ হন কোলকাতার দর্শকেরা। জানা গেছে, ফেসবুকসহ সোস্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন ব্লগে ‘রাজকাহিনী’ নিয়ে ইতিবাচক নানা মন্তব্য লেখা হচ্ছে। এসব লেখায় পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয় জয়া আহসানের অভিনয়ের প্রশংসা।
ভারতের খ্যাতিমান সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনেও ‘রাজকাহিনী’ সিনেমার সমালোচনা প্রকাশিত হয়। সেখানেও জয়ার অভিনয়ের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে ‘রাজকাহিনী’তে রুদ্রনীলের সঙ্গে জয়ার আবেগঘন দৃশ্যটির বিষয়ও। তাতে বলা হযেছে, এই ছোট্ট একটি দৃশ্যেও জয়া নিজের অভিনয়-দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন।
অপরদিকে জয়া বর্তমানে কোলকাতায় রয়েছেন। তিনি বলেছেন, কোলকাতায় পূজার সময়টা তিনি ভীষণ উপভোগ করছেন। প্রতিদিন বিভিন্ন পূজামণ্ডপে যাচ্ছেন। তিনি বললেন, ‘এবারই প্রথম পূজার সময় কোলকাতায় রয়েছি। ছবির প্রচারণায় দুটি পূজামণ্ডপে গিয়েছি। এখন মা আমার সঙ্গে রয়েছেন। মাকে সঙ্গে নিয়েই গিয়েছি আরও কয়েকটি পূজা মণ্ডপে। বর্তমানে তো রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার উপায় নেই। হেঁটে হেঁটে যেতে হয়। সেদিন তো গোল পার্ক হতে যোধপুর পার্ক পর্যন্ত হেঁটে এসেছি। কতটা পথ হবে, তা বলে বোঝাতে পারবো না।’ জয়া আহসান এখন কোলকাতার মানুষদের নিকট একটি পরিচিত মুখে পরিণত হয়েছেন। কোলকাতার পথে হাঁটতে গিয়ে সে প্রমাণ তিনি নিজেই পেয়েছেন- এমন কথাও তিনি জানালেন।
উল্লেখ্য, ‘রাজকাহিনী’ ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ১৬ অক্টোবর। ১৯৪৭ সালের ভারতের দেশভাগের প্রেক্ষাপট নিয়ে ‘রাজকাহিনী’ ছবিটি নির্মাণ করেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়।