দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনের মধ্যে নারীরা রয়েছে সেটি সকলের জানা। কিন্তু আত্মঘাতী হামলায় নারী এমন খবর এবারই প্রথম শোনা গেলো। শোনা গেছে এক পার্টি গার্ল প্যারিসের আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ২৬ বছর বয়সী এক তরুণী যিনি ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এসব নিয়ে সময় কাটাতেন। মাত্র মাস আটেক আগে হাসনা আইটবুলাসেন নামের ওই তরুণী হঠাৎ ধর্মের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেন। তিনি নিকাব পরতে শুরু করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসলামিক স্টেটকে সমর্থন করে নানা ধরনের বক্তব্যও পোষ্ট করতে থাকে ওই তরুণী।
খবরে আরও জানা যায়, হাসনা আইটবুলাসেন বেড়ে উঠেছে প্যারিসের দরিদ্র শহরতলীতে। পার্টিতে গিয়ে আমোদ-ফুর্তি করতে ভালোবাসতো সে। বন্ধুদের ভাষায় হাসিখুশি এক মেয়ে হলো এই হাসনা আইটবুলাসেন।
সেই মেয়েটিই হঠাৎ করে কিভাবে জঙ্গীদের সঙ্গে ভিড়ে গিয়ে আত্মঘাতী বোমারুতে পরিণত হলো তার সমীকরণ কেওই মেলাতে পারছেন না।
প্যারিসের শহরতলীর যে ফ্ল্যাটটিকে ঘিরে গত বুধবার ভোররাত হতে জঙ্গীদের সঙ্গে পুলিশের যে তীব্র লড়াই চলে, সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় হাসনা আইটবুলাসেনের মৃতেদহ।
পুলিশ মনে করছে, আত্মঘাতী বোমার বেল্ট বাঁধা ছিল হাসনা আইটবুলাসেনের শরীরে। এই অভিযান চলার সময় এক পর্যায়ে সেই বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় সে নিজেই।
যদি পুলিশের ধারণাটি সত্যি হয়, তাহলে বলা যাবে হাসনা আইটবুলাসেন হচ্ছে পশ্চিম ইউরোপের প্রথম আত্মঘাতী মহিলা জঙ্গী।
উল্লেখ্য, প্যারিসের সন্ত্রাসী হামলার মূল হোতা বলে যাকে মনে করা হয়, সেই আবদেল হামিদ আবাউদের দূর সম্পর্কিত বোন নাকি এই হাসনা আইটবুলাসেন।