দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রোবট আবিষ্কারের পর থেকে একের পর এক রোবট বানানো হচ্ছে। নানা কাজে তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমানে এমন একটি পুতুল রোবট বানানো হয়েছে যেটি অনেকটা মানুষের বিকল্প হতে যাচ্ছে!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ওই অ্যান্ড্রয়েড রোবটটির নাম দেওয়া হয়েছে জেমিনয়েড এফ। এই রোবটটি কথাও বলতে পারে। মানুষের মতোই হাসতে পারে। আবার চোখ ঘুরিয়ে তাকাতেও পারে। এমনকি চোখে চোখ পড়লে জবাবও দেয় সে। মানুষের দেহভঙ্গিও বুঝতে পারে সে। ভ্রূ-কুচকানোর মতো কাজও করতে পারে নতুন এই রোবটটি।
জানা গেছে, রাবার জাতীয় পদার্থ দিয়ে ওই অ্যান্ড্রয়েড রোবটটির চামড়া তৈরি করা হয়েছে। আর তাই এটি দেখতে একেবারে মানুষের ত্বকের মতোই!
শুধু তাই নয়, জীবন্ত মানুষের অনেক অঙ্গভঙ্গিও শেখানো হয়েছে রোবটটিকে। আগে থেকে না জানা থাকলে যে কেও খুব সহজে মানুষ ভেবে ভুল করবেন।
এমন জীবন্ত অবয়বের কারণে টেক ওয়ার্ল্ডে ইতিমধ্যেই ব্যাপক ঝড় তুলেছে জেমিনয়েড এফ। তাকে বলা হচ্ছে ‘বিশ্বের সবচেয়ে আবেদনময়ী রোবট’ হিসেবে।
কিন্তু একটি বিষয় হলো কেবলমাত্র রোবটটি হাঁটতে পারে না। তাকে সব সময় চেয়ারে বসিয়ে রাখা হয়। চলাফেরা করানো হয় মূলত হুইল চেয়ার দিয়েই। গত সপ্তাহে চীনের বেইজিংয়ে হয়ে যাওয়া ওয়ার্ল্ড রোবট এক্সিবিশনে প্রধান আকর্ষণ ছিল এই রোবটটি। ওসাকা ইউনিভার্সিটির হিরোশি ইশিগুরো পরীক্ষাগারের বিজ্ঞানীরা এই রোবটটি তৈরি করেছেন। এটি তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে ৭২ হাজার পাউন্ড। ভবিষ্যতে আরও উন্নতমানের মডেল তৈরির পরিকল্পনা করছেন তারা।
সহকারী অধ্যাপক কোহেই ওগাওয়া বলেন, ভবিষ্যতে এই রোবটটি ব্যবহার করে আমরা নিখুঁত এআই (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ব্যবস্থা তৈরি করবো।
উল্লেখ্য, এবছর জাপানি ছবি স্যায়োনারাতে অন্যতম তারকা ছিল এই রোবটটি। কোন চলচ্চিত্রের মূল চরিত্রে অভিনয় করা প্রথম রোবট হলো এই নতুন রোবট জেমিনয়েড এফ।