দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সন্তান হারানোর আবার ফিরে পাওয়া যায় অনেক সময়। কিন্তু তাই বলে মৃত সন্তানকে ফেরত পাওয়ার মতো ঘটনা! অনেকটা এমনই একটি ঘটনা। এক বছর পর ফিরে এলো মৃত ৩ সন্তান!
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, পাঁচ বছরের ছোট্ট কাইলির সে দিন ছিল জন্মদিন। মা লোরি, দাদু সিন্ডি, দুই ছোট বোন কেটি এবং এমার সঙ্গে গাড়িতে করে কার্নিভালে যাচ্ছিল ছোট্ট কাইলি। চিড়িয়াখানা, ফেয়ারগ্রাউন্ডে রাইড, বার্থডে বয় সব মিলিয়ে কাইলির দিনটা হতে চলেছিল এক স্বপ্নের মতোই। কিন্তু হঠাৎ জীবন্ত বিভীষিকার মতো ট্রাকের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে যায় সেই গাড়ি। মুহূর্তেই শেষ হয়ে যায় সব স্বপ্ন।
কাইলির বাবা ক্রিস যখন ফোন পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছান, ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গেছে। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে কেটি, এমা। ধীরে ধীরে ওঠানামা করছিল কাইলির হার্টবিট। বাঁচার কোনো আশায় নেই। করুণ হাতে নিজেরাই লাইফ সেভিং মেশিন বন্ধ করেছিলেন তার মা-বাবা। ছোট্ট তিনটে কফিনের সামনে বসে তাদের বাবা-মা ক্রিস-লোরি একে অপরকে প্রমিস করে যাই ঘটুক না কেনো, তারা আত্মহত্যা করবেন না।
তারপর হতে তাদের দিনগুলো বন্ধ ঘরেই কাটছিল। আশেপাশের বাচ্চাদের কলরব, হাসি, খেলার আওয়াজ শুনলেই বুকের ভিতর যেনো তাদের শুরু হয়ে যেতো রক্তপাত। ইচ্ছা, স্বপ্ন সম্বল করে এক বছর পর আবার তারা স্মরণাপন্ন হন ফার্টিলিটি ক্লিনিকের।
এখানে যেনো দৈব ভবিষ্যত তাদের জন্য অপেক্ষা করছিল। একটা নয়, এক সঙ্গে লোরি-ক্রিসের কোল আলো করে এলো তিনটি সন্তান। আবারও সেই আগের মতো দুই মেয়ে, এক ছেলে। অ্যাশলে, এলি ও জেককে নিয়ে আবার শুরু হলো ভরা সংসার লোরি-ক্রিসের। তারা ভালো করেই জানেন কোনো দিন ফিরবে না কাইলি, কেটি, এমা। তাই ক্রিসমাস উদযাপনে তারা পিকনিকে গেলেন সেই গোরস্থানে। একমাত্র ওখানেই যে এক সঙ্গে হতে পারে তাদের গোটা পরিবার। তবে তিনি ঈশ্বরকে এই বলে ধন্যবাদ জানানা যে, তার মৃত তিন সন্তানকে ঈশ্বর সত্যিই আবার তার কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন।