দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রযুক্তি মানব সভ্যতার নানা কাজে লাগছে। মানুষ নানাভাবে এর দ্বারা উপকৃতও হচ্ছেন। কিন্তু এইসব প্রযুক্তির কারণে আবার ডিজিটাল স্মৃতিভ্রংশতার স্বীকার হতে পারেন যে কেও!
এমন হতে পারে যে, আপনি হয়তো ফোন নম্বর মনে রাখতে পারেন না। আবার কোনো কিছু বা কোনো তথ্য জানতে আপনাকে ডিজিটাল প্রযুক্তি অর্থাৎ ইন্টারনেটের সহযোগিতা নিতে হয়।
যদি তাই হয় তাহলে খুব সাবধান! এক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে আপনিও ডিজিটাল স্মৃতিভ্রংশতার স্বীকার হয়েছেন। এক সমীক্ষা হতে জানা গেছে, অতিরিক্ত পরিমাণে ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ব্যবহারের কারণে লোপ পাচ্ছে মানুষের স্মৃতিশক্তি।
গবেষকরা বলেছেন, মানুষ নিজের প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য, সময় বা দিন সব কিছুই সেভ করে রাখেন নিজেদের ল্যাপটপ, ডেস্কটপ কিংবা স্মার্টফোনে। আর তাই প্রয়োজনীয় তথ্য মাথায় রেখে মাথা জ্যাম করার দরকার পড়ে না।
গবেষকরা আরও বলেছেন, স্মৃতিভ্রংশতার কারণে সব থেকে বেশি ভুগছে টিনেজার কিংবা প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়েরা। এর কারণ হলো জন্ম থেকেই তাদের হাতে থাকে স্মার্টফোন কিংবা ট্যাব। কোনো কিছু খুঁজতে গেলে শুধুমাত্র আঙুলের একটা স্পর্শের মাধ্যমেই গোটা দুনিয়ার বিভিন্ন তথ্য হাজির হয় তাদের সামনে।
ডিজিটাল স্মৃতিভ্রংশতার কয়েকটি লক্ষণ জেনে নিন:
# নিজের মোবাইল ফোন কিংবা ল্যাপটপের সঙ্গে দিনের সবচেয়ে বেশি সময় অতিবাহিত করা।
# প্রয়োজনীয় সবতথ্য ডেক্সটপ, ল্যাপটপ কিংবা স্মার্টফোনে সেভ করে রাখার প্রবণতা যাদের রয়েছে।
# অফিস কিংবা বাড়িতে কাজের ডেডলাইনের বিষয়গুলো মোবাইল ফোনে সেভ করে রাখা। এমনকি কাজের সময় কিংবা বাজারে গিয়ে কোনও জিনিসের কথা ভুলে গেলে তড়িঘরি করে মোবাইল কিংবা ট্যাব হতে দেখে নেওয়ার অভ্যাস।
# সামনা সামনি কথা না বলে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর মাধ্যমে কথা বলার অভ্যাস। একে ওপরের সঙ্গে প্রায় সময় ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলা।
# মোবাইল কিংবা ট্যাব ছাড়া এক মুহূর্তও থাকার কথা আপনি স্বপ্নেও ভাবতে পারেন না এমন অবস্থা হলে। এমনকি যেখানে ফোনের ডাটা অন করা সম্ভব হয় না সেখানে আপনার নিজেকে কেমন যেনো পাগল পাগল মনে হয়।
এসব সমস্যাগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে বেশি কথা না বলে সামনা সামনি কথা বলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কারোর মনের ভাব বোঝার জন্য সামনা সামনি কথা বলা একটি প্রয়োজনীয়। নতুন তথ্য জানার জন্য ইন্টারনেটের সাহায্য নেওয়া দোষের কিছু নয়। কিন্তু সব বিষয়ে ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে পড়াটা খারাপ বিষয়।