দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অভাবী মানুষদের খাওয়ানো যার এক নেশাতে পরিণত হয়েছে এমন এক কোটিপতির কাহিনী রয়েছে আজকের এই প্রতিবেদনে। অভাবীদের ফ্রি-তে খাওয়ানো সেই কোটিপতি এখন প্রায় নি:শ্ব!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গরিবদের বিনা পয়সায় খাওয়াতে খাওয়াতে একসময়ের বিলিয়নিয়র এখন প্রায় নি:ম্ব। তিনি একের পর এক সম্পত্তি বিক্রি করে চলেছেন। তারপরও তিনি গরিবদের বিনা পয়সায় খাওয়ানো বন্ধ করতে নারাজ।
ভারতের চণ্ডীগড়ের ৮০ বছরের বৃদ্ধ জগদীশলাল আহুজাকে চেনেন না, এমন লোক খুব কমই রয়েছেন। বিশেষ করে গরিব মানুষের কাছে তিনি এক মহানায়ক। তাঁকে ভগবান জ্ঞানে শ্রদ্ধা করেন ওই অঞ্চলের বহু ফুটপাথবাসী। এর একটিই কারণ আর তা হলো এই হিংসা, হানাহানি, প্রবঞ্চনার বিশ্বেও এই মানুষটি সমাজের কাছে এক বিশেষ ব্যক্তিত্ব। প্রতি সন্ধ্যায় চণ্ডীগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (PGIMER) সেন্টার এবং প্রতিদিন দুপুরে তাঁকে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে দেখা যাবেই। একদিনও বাদ নেই। অক্লান্তে তিনি সেবা করে যাচ্ছেন গরিব-দুঃখীদের।
তিনি বিনা পয়সায় বিলি করছেন চাপাটি, আলু-চানা, হালুয়া, একটি কলা এবং এক প্যাকেট মিষ্টি ও বিস্কুট। কয়েকশো ফুটপাথবাসী লাইন দিয়ে নিয়ে যান এসব খাবার। সাদা চুলের বৃদ্ধ জগদীশলাল হাসিমুখে সকলকে পরিবেশন করেন এসব খাবার। এটিই তাঁর এক নেশা। তিনি ভালোবাসেন মানুষকে খাওয়াতে। এই ভালোবাসাই তাঁকে ক্রমেই করে তুলছে নিঃস্ব। তিনি একের পর এক সম্পত্তি বিক্রি করে চলেছেন। তারপরও গরিব মানুষগুলোকে খাওয়ানো বন্ধ করেন না তিনি।
জগদীশলাল আহুজার বক্তব্য হলো, ‘টাকা পয়সা তো আর সঙ্গে নিয়ে যাবো না। এই মানুষগুলোর আশীর্বাদে আমি ধনীই থাকবো। এছাড়া আমি আর কিছু চাই না। যতদিন বাঁচবো, শেষ রক্ত দিয়ে হলেও এদের পেট ভরানোর চেষ্টা করে যাবো।’
মানুষকে পেট ভরানো যার এক নেশা সেই ভারতের চণ্ডীগড়ের ৮০ বছরের বৃদ্ধ জগদীশলাল আহুজা নি:শ্ব হলেও থেমে থাকবেন না এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। সত্যিই এমন মানুষকে যে কেও শ্রদ্ধা করবে।