দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চিকিৎসকরা রোগিকে সুস্থ করে তোলেন এটিই দুনিয়ার নিয়ম। কিন্তু এবার সেই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে। এক চিকিৎসকের প্রহারে রোগীর মৃত্যু ঘটেছে!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম রাশিয়ার বেলগোরদ শহরের এক হাসপাতালে ঘটেছে এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা। খবরে বলা হয়েছে, এক নার্সের সঙ্গে খারাপ আচরণ করার অভিযোগ ওঠে এক রোগীর বিরুদ্ধে। ওই ঘটনাটি নার্স একজন চিকিৎসককে জানালে, তিনি এসে রোগী এবং তার সহযোগীকে বেদম পিটুনি শুরু করে দেন। এতেই লুটিয়ে পড়েন ওই রোগী। প্রহারের ঘটনাটি হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
রুশ মিডিয়া ওই চিকিৎসককে ‘দ্য বক্সার ডক্টর’ বলেও মন্তব্য করেছে। ঘটনাটি গত ২৯ ডিসেম্বর ঘটলেও, সেই সিসিটিভি ফুটেজ সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৭ লাখেরও বেশি মানুষ ওই ভিডিওটি দেখেছেন।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, এক অর্ধনগ্ন রোগীকে একটি বেডে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এমন সময়ে ঘরে ঢোকেন এক সুঠামদেহী চেহারার চিকিৎসক, সঙ্গে রয়েছেন এক নার্স। এরপর ওই নারী রোগীর দিকে আঙুল তুলে ওই চিকিৎসককে দেখালে ওই চিকিৎসক তখনই ওই রোগীকে বলেন, ‘তুমি আমার নার্সের গায়ে হাত দিয়েছো!’ এই কথা বলতে বলতেই ওই রোগীকে বেড হতে টেনে তুলে মাথায় কষে ঘুষি মারেন। রোগীর সহযোগী তাকে বাধা দিতে গেলে, তাকেও বেদমভাবে প্রহার করতে থাকেন ওই চিকিৎসক। অবশেষে নার্সদের হস্তক্ষেপে তিনি ক্ষান্ত হন। তারপর ঘর হতে বেরিয়ে যান ওই চিকিৎসক!
ওই ভিডিওটিতে আরও দেখা যায় যে, ওই নার্স সহকর্মীদের আরও কিছু বলছেন। প্রায় দু’মিনিট পর সকলের নজরে আসে যে ওই রোগী তখনও মাটিতে পড়ে রয়েছেন। সহযোগী এগিয়ে এসে রোগীকে প্রশ্ন করেন, তুমি ঠিক আছো তো? কোনও সাড়া না মেলায় জরুরি বিভাগের চিকিৎসকদের খবর পাঠানো হলে ফিরে আসেন অভিযুক্ত চিকিৎসকও। সকলে মিলে পরের ৮ মিনিট ধরে ওই রোগীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। তবে তার আগেই যা হওয়ার হয়ে গেছে। মাথায় গুরুতর আঘাত লেগে রোগী মারা গেছেন। তার দেহকে পরে ক্যামেরার সামনে হতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মাটিতে লেগে থাকা রক্তের দাগও পরে মুছে ফেলা হয়।
এবিসির খবরে বলা হয়েছে, এ ঘটনার পর অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করেছে রুশ তদন্তকারী কমিটি। দোষী প্রমাণ হলে অন্তত দু’বছরের কারাদণ্ড হতে পারে ওই চিকিৎসকের। ইতিমধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে বহিষ্কার করেছে।
দেখুন ভিডিওটি
https://www.youtube.com/watch?v=NWABtqpmCAQ