দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যেখানে দুই বিয়ে করলে শাস্তি পেতে হয় সেখানে এমন কথা কখনও শোনা যায়নি যে দুই বিয়ে না করলেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে! ইরিত্রিয়া সরকার এমন একটি আইন করেছে।
ফাইল ফটো
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সে দেশের সরকার ঘোষণা করেছে যে, প্রত্যেক সক্ষম পুরুষকে অন্ততপক্ষে দুটো বিয়ে করতেই হবে। নির্দেশ অমান্য করলেই তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এমনকী কোনো স্ত্রী যদি তার স্বামীকে দ্বিতীয় বিয়ে করতে বাধা দেয়, তাহলে তাকেও শাস্তি পেতে হবে।
এমনই একটি নির্দেশ জারি করেছে ইরিত্রিয়া সরকার। গণমাধ্যমে এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জগতে।
সরকারের আদেশে বলা হয়েছে, ‘বহুগামিতা নিয়ে ঈশ্বরের আইন মেনে ও দেশে পুরুষ কমে যাওয়ার পরিস্থিতি বিবেচনা করে, ইরিত্রিয়া সরকারের ধর্ম সংক্রান্ত দপ্তর এই সিদ্ধান্তগুলি নিয়েছে যে-
প্রথমত: প্রত্যেক পুরুষ অন্তত দু’জন মহিলাকে বিয়ে করবেন। যে পুরুষ তা করতে অস্বীকার করবেন তাকে কঠোর পরিশ্রমসহ যাবজ্জীবন কারাবাস ভোগ করতে হবে। যে মহিলা তার স্বামীকে দ্বিতীয় বিয়ে করতে বাধা দেবেন তাকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
আফ্রিকার ছোট্ট এই দেশ ইরিত্রিয়ার জনসংখ্যা ৬৪ লক্ষেরও কিছু কম। দেশটির একদিকে সুদান অপরদিকে ইথিওপিয়া। আরেকদিকে জিবুতি, আরেক প্রান্তে লোহিত সাগর।
জিম্বাবুয়ে ডেইলি, আফ্রিকা নিউজে বলা হয়েছে, ইথিওপিয়া হতে পৃথক হয়ে ১৯৯৩ সালে স্বাধীন ইরিত্রিয়ার জন্ম হয়। তারপর ১৯৯৮ হতে ২০০০ পর্যন্ত দু’বছর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলে ইথিওপিয়ার সঙ্গে। যুদ্ধে মারা পড়েন বহু পুরুষ। আর তখন হতেই দেশটিতে নারীর অনুপাতে বেশ কমে যায় পুরুষের সংখ্যা। এই নারী-পুরুষ অনুপাতের যুক্তি দেখিয়েই সম্প্রতি জারি হয়েছে এই অদ্ভুত নির্দেশটি।
উল্লেখ্য, ইরিত্রিয়ার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক খ্রিস্টান এবং বাকি অর্ধেক মুসলিম ধর্মাবলম্বী বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।