দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পাথর কী কখনও চলতে পারে? আপনি কী কখনও এমন কথা শুনেছেন? তবে আজ শুনুন এমন এক বিস্ময়কর চলন্তপাথরের গল্প!ক যা শুনলে আপনি সত্যিই চমকে যাবেন।
এই পৃথিবীতে প্রতিদিন কতোরকম বিস্ময়কর ঘটনা ঘটছে। এসব বিস্ময়কর ঘটনা আমাদের সত্যিই চমকে দেয় কখনও কখনও। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার জন্য হয়তো আমরা অনেক কিছুতেই বিস্মিত হতে পারি না। তবে আজও এমন অনেক ঘটনা ঘটছে, যেগুলো সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেননি স্বয়ং বিজ্ঞানীরাও।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াস্থ রেসট্র্যাক প্লায়া, ডেথ ভ্যালিতে। এখানে কিছু পাথর রয়েছে যেগুলো নিয়মিতভাবে একা একায় স্থান পরিবর্তন করে। বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে- কোনো মানুষ এই পাথরগুলো সরায় না, কোনো পশু-পাখির পায়ের ছাপও এসব পাথরের আশপাশে এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। যদিও পর্যন্ত কোনো মানুষ এসব পাথরকে সরতে বা চলতে দেখেনি, তবে পাতলা কাদার স্তরে পাথরগুলোর স্থান পরিবর্তনের স্পষ্ট ছাপ দেখা গেছে বহুবার।
জানা গেছে, সাধারণত প্রতি দুই হতে তিন বছরে পাথরগুলো স্থান পরিবর্তন করে। এসব পাথরের মধ্যে অনেকগুলোর ওজন প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের সমান। পাথরগুলোর চলার পথ পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে যে, এগুলো নির্দিষ্ট কোনো পথে চলে না। কখনও সোজা চলে আবার কখনওবা আঁকাবাঁকা পথে চলাচল করে। এমনও দেখা গেছে যে, দুটি পাথর কিছু দূর সমান্তরালে চলার পর একেবারেই বিপরীত দিকে চলা শুরু করে। এমনও হয় পাথরগুলো যেখান থেকে যাত্রা শুরু করেছিল আবার সেখানেও অনেক সময় ফিরে আসে!
বিস্ময়কর এই ঘটনাটি প্রথম ১৯৪৮ সালে বুঝতে পারেন বিজ্ঞানীরা। অনেক গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা এর কারণ হিসেবে ধারণা করেন, হঠাৎ তীব্র বাতাস, কাদামাটি, বরফ, তাপমাত্রার তারতম্য ইত্যাদি বিষয়ের উল্লেখ করেছেন। তবে এর কোনোটিতেই বিজ্ঞানীরা যথেষ্ট প্রমাণ নিয়ে একমত হতে পারেননি বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়।