দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক দিন ধরেই ক্ষমতায় রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে তিনি আর কতোদিন ক্ষমতায় থাকবেন, কিংবা আদৌ ক্ষমতা ছাড়বেন কি না, তা নিয়ে তাঁর দেশে এবং দেশের বাইরে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
আগামী ২০১৮ সালে রাশিয়ায় পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি প্রশ্ন বার বার ঘুরপাক খাচ্ছে। আর তা হলো চতুর্থ বারের মতো প্রেসিডেন্ট হতে পুতিন কি ওই নির্বাচনে লড়বেন? নাকি সরে দাঁড়াবেন?
তবে পুতিন যদি আগামী ২০১৮ সালের নির্বাচনে সত্যিই দাঁড়ান ও জয়ী হন, সেক্ষেত্রে রাশিয়ায় তাঁর নিয়ন্ত্রণকালের মেয়াদ দুই যুগ পূর্ণ হবে।
বহির্বিশ্বের বা ভেতরের মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে যতোই সমালোচনা থাকুক না কেনো, রাশিয়ায় এখনও দারুণ জনপ্রিয় ভ্লদিমির পুতিন। গতবছরের অর্থাৎ ২০১৫ সালের এক জনমত জরিপ অনুযায়ী, তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ৮০ শতাংশেরও ওপরে। যদিও ওই জরিপের পদ্ধতি এবং গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সমালোচনা রয়েছে।
পুতিনের একচ্ছত্র জনপ্রিয়তার মাত্রা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলেও এ কথা সত্য যে, এই মুহূর্তে তাঁকে ছাড়া রাশিয়ার কথা ভাবাই দুষ্কর। তাঁর হাত ধরেই রাশিয়া এখন দুনিয়া কাঁপিয়ে যাচ্ছে।
সংবাদ মাধ্যমে পুতিনকে নিয়ে তাই লেখালেখি হচ্ছে বিস্তর। বলা হচ্ছে, রাশিয়ায় পুতিনের সহচরদের মধ্যে তাঁর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। তাঁর পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও কাওকে উত্তরসূরি বিবেচনা করার কোনো ভিত্তি নেই।
সার্বিক মূল্যায়নে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিন যদি দাঁড়ান, যদি সবকিছু ঠিক থাকে, তবে তাঁর জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে শত্রুরও কোনো সন্দেহ হওয়ার কথা নয়।
আবার পুতিন যদি কোনো কারণে ওই নির্বাচনে না দাঁড়ান কিংবা ক্ষমতা হতে সরে যান, তাহলেও বিদ্যমান কাঠামোয় দেশটির নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতেই থাকার সম্ভাবনা বেশি।
পুতিন নিজেও অবশ্য প্রকাশ্যে বলেছেন, তিনি আজীবন প্রেসিডেন্ট থাকবেন না। তবে প্রশ্ন পুতিন কতোদিন ক্ষমতায় থাকবেন?
কিছু রুশ বিশ্লেষকের মত হলো, চলতি বছরের মাঝামাঝি নাগাদ পুতিনের শাসন হোঁচট খেতে পারে। অপরদিকে পুতিনকে এক দশক সময় দিয়েছেন সাবেক সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী কার্ল বিল্ডট।
পুতিন হয়তো অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় থাকবেন না। তবে তিনি খুব শীঘ্রই সরবেন বলেও মনে হচ্ছে না। তাছাড়া রাশিয়ায় আপাতত এমন কোনো বিপ্লব হওয়ার মতো পরিস্থিতিও নেই, যাতে করে পুতিন ক্ষমতাচ্যুত হতে পারেন।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ও ইনভেসটোপিডিয়া উপরোক্ত তথ্য দিয়ে বলেছে, এক কথায় বলা যায়, দেশটিতে পুতিনের প্রভাব এক অসীম। তাঁর ক্ষমতার বলয় সর্বত্র অর্থাৎ বিশ্বজুড়ে। তিনি কখনও সরে গেলেও ক্রেমলিনে তাঁর ছায়া থাকবে বলেই ধারণা করা হয়ে থাকে।