দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার যাকে দুহাত ভরে দিয়েছে, সেই ১১৫ মিলিয়ন ডলারের মালিক টেন্ডুলকারের পকেটে বাড়ি ফেরার টাকা ছিল না!
এক সময় অর্থ-বৈভব না থাকলেও ভাগ্যের জোরে অনেকেই হয়েছেন কোটিপতি। আর তাদের কোটিপতি হওয়ার পরও অতিতের কথা ভুলতে পারেন না। যেমন ক্রিকেটের রাজপুত্র খ্যাত শচীন টেন্ডুলকারের ক্ষেত্রেও ঘটেছিল এমনটি।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, শেষ একটি জরিপে দেখা যায় যে, বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে ধনবান হলেন এক সময়ের ভারতীয় ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার।
২০ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার যার দু’হাত ভরে দিয়েছেন সৃষ্টিকর্তা। ১১৫ মিলিয়ন ডলারের মালিক বর্তমানে টেন্ডুলকার। তবে তার জীবনের প্রথম ভাগে এমনও দিন গেছে যে, রেল স্টেশন হতে বাড়ি ফেরার টাকাও ছিল না তার পকেটে! একেবারে কপদর্কশূন্য ছিলেন বিশ্ব ইতিহাসে ক্রিকেট খেলে সবচেয়ে ধনী হওয়া শচীন টেন্ডুলকার!
সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে নিজের সেইসব ছেলেবেলা স্মরণ করেন সাবেক ব্যাটিং ম্যাস্ট্রো শচীন টেন্ডুলকার। ভারতের সবচেয়ে ধনী এই ক্রীড়াবিদ জানালেন, একবার তিনি পুনেতে গিয়েছিলেন অনূর্ধ্ব-১৫ ক্রিকেটে খেলতে। ফেরার পর? টেন্ডুলকার বললেন ঠিক এভাবে, ‘তখন আমার বয়স মাত্র ১২ বছর। মুম্বাই অনূর্ধ্ব-১৫ দলে খেলার সুযোগ পেলাম আমি। খুবই শিহরিত ছিলাম। সামান্য কিছু টাকা নিয়ে পুনায় (পুনে) গেলাম ৩টি ম্যাচ খেলতে। তবে ওখানে শুরু হলো বৃষ্টি।’
টেন্ডুলকার আরও বলছিলেন, ‘আমি খেলতে নেমে ৪ রান করে রান আউট হলাম। মাত্র ১২ বছরই তো বয়স ছিল তখন। ভালো দৌড়াতে পারতাম না আমি। খুব কষ্ট পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে ড্রেসিং রুমে ফিরেছিলাম সেদিন। এরপর আমি আর ব্যাট করার সুযোগ পাইনি। প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। ঘুরে বেড়ানো, মুভি দেখা এবং খাওয়া-দাওয়া ছাড়া সারাদিন আর কিছুই করার ছিল না। আমি জানতাম না কিভাবে টাকা খরচ করতে হয়, আর কিভাবেই বা টাকা বাঁচাতে হয়। সব টাকা তাই শেষ করে ফেললাম। ট্রেনে করে মুম্বাই আসার পর আমার পকেটে একটা পয়সাও ছিল না।’ তবে তারপর রেল স্টেশন হতে কিভাবে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি? সেগল্পটি অবশ্য জানাননি শচীন টেন্ডুলকার।