দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ডাক ও টেলিযোগোযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, সিম নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হচ্ছে না। আগের ঘোষণা অনুযায়ী ১ মে ৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে অনিবন্ধিত সিম!
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের সময়সীমা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত থাকছে বলে আজ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হয়েছে। সচিবালয়ের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডাক ও টেলিযোগোযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এতথ্য জানান। তাই পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী ১ মে হতে অনিবন্ধিত সিমের সংযোগ ৩ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগোযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
এদিকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে চলমান সিম নিবন্ধন কার্যক্রমের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন- বিটিআরসির কাছে চিঠি দিয়েছে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক। সিম নিবন্ধন শেষ করতে গ্রামীণফোন আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ২ মাস সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে। অপরদিকে বাংলালিংক আগামী ৩১ মে পর্যন্ত অর্থাৎ ১ মাস সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে।
তবে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, সিম নিবন্ধনের সময়-সীমা বাড়ানো হবে না। কেবলমাত্র আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে। এজন্য মোবাইল অপারেটরদের কাস্টমার কেয়ার এবং এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) সেবা দেওয়া কেন্দ্রগুলো রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭ কোটি ৭৯ লাখ সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। আরও ১ কোটি ২১ লাখ গ্রাহক এই নিবন্ধনের আওতার বাইরে রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, এইসব অনিবন্ধিত সিমের গ্রাহকরা বেশিরভাগই এসেছিলেন, তবে তাদের আঙুলের ছাপ না মেলায় কিংবা জন্ম তারিখ ভুল হওয়ার জটিলতায় পড়েছেন।
এদিকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিম নিবন্ধনের সময় আরও কিছুটা বাড়ানো দরকার। কারণ এই সিমগুলো থেকে সরকারের প্রচুর রাজস্ব আদায় হয়। যদি সময় না বাড়ানোর কারণে এইসব সিম বন্ধ হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে মোবাইল কোম্পানিগুলো ক্ষতির সম্মুখিন হবেন সেইসঙ্গে দেশও অনেক রাজস্ব হতে বঞ্চিত হবে। তারা মনে করেন, এক বা দুই মাস সময় বৃদ্ধি করে সর্বশেষ সময় বেঁধে দেওয়া উচিত। এর মধ্যে যারা নিবন্ধন করবে না তাদের সিম বন্ধ হলে তখন কারও কিছু বলার থাকবে না। সময়-সীমা না বাড়ানোর জন্য সরকারি সিদ্ধান্ত সঠিক নয় বলে জনগণের মধ্যে হতাশা প্রকাশ পেয়েছে।