দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে নানা কথা শোনা যাচ্ছিল। নানা গুঞ্জনের অবসান ঘটাতে মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ প্রকাশ করলো বিজেপি!
নানা সমালোচনার মধ্যে পড়ার কারণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ প্রকাশ করলো দেশটির কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল দিল্লিতে ক্ষমতাসীন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি (এএপি)।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, সোমবার নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদির সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ সরাসরি প্রদর্শন করা হয়। সংবাদ সম্মেলন করে সেখানে মোদির স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সনদ দেখানো হয়। ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ ও অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
পূর্বে বেশ কয়েকবার নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এএপি নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি দাবি করে বলেন যে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় হতে পাস করেননি নরেন্দ্র মোদি। গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও মোদি স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেননি। সে জন্য দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেও চিঠি দেয় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল এএপি।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই বছর নরেন্দ্র মোদি বলে কেও নাকি পাস করেননি। তবে নরেন্দ্র মহাবীর মোদি নামে রাজস্থানের আলাওরের এক শিক্ষার্থী পাস করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অমিত শাহ বলেন, নরেন্দ্র মোদির নামে কেজরিওয়াল মিথ্যা রটাচ্ছে। তাকে দেশ এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
মোদি সরকারের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, ১৯৭৫ হতে ৭৭ সাল পর্যন্ত জরুরি অবস্থার সময়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন নরেন্দ্র মোদি। ওই সময় ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত থাকায় তিনি (অরুণ জেটলি) বিষয়টি আগে থেকেই জানতেন। সংবাদ সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদির সনদের কপিও সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া হয়।
এনডিটিভি বলেছে, এএপির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে ভারতের তথ্য কমিশন। তদন্তে পাওয়া যায়, নরেন্দ্র মোদি গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় হতে ৬২ দশমিক ৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাস করেন। কিন্তু দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ আজই প্রকাশ করা হলো।