দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৩০ সেকেন্ড সময়টি খুব কম মনে হলেও এই সামান্য সময়ের মধ্যে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। যেমন হয়েছিল একশত বছর আগে টাইটানিকের ক্ষেত্রে।মাত্র ৩০ সেকেন্ড সময়ের হেরফেরে ডুবে গিয়েছিল টাইটানিক!
একশত বছর আগের ঘটনা হলেও এটি হলো ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ মর্মান্তিক ঘটনা। টাইটানিক-কে বাঁচানোর জন্য হাতে ৩০ সেকেন্ড সময় ছিল। হয়তো বাঁচিয়ে দেওয়া সম্ভব হতো। তবে সামান্য সময়ের হেরফেরের কারণে তা করা যায়নি।
কী ঘটেছিল সেদিন রাতে?
যে মুহূর্তে হিমশৈলটি নাবিকদের চোখে পড়েছিল, তারা তৎক্ষণাত বিষয়টি জাহাজের দায়িত্বে থাকা অফিসারকে জানিয়েওছিলেন। কিন্তু সেখানেই মোক্ষম একটি ভুল করে ফেলেন জাহাজের অফিসার-ইন-চার্জ উইলিয়াম মার্ডক। জাহাজের গতিপথ পাল্টানোর নির্দেশ দিতে তিনি সময় নিয়েছিলেন মাত্র ৩০ সেকেন্ড। আর এই সময়ের মধ্যেই ঘটে যায় ইতিহাসের মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি।
যদিও আগে মনে করা হতো যে, মার্ডক সঙ্গে সঙ্গেই জাহাজের গতিপথ পাল্টানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। বলা হয়ে থাকে, হিমশৈলটি দেখতেই দেরি করে ফেলেছিলেন নাবিকরা। যে সময়ে তারা উইলিয়াম মার্ডককে সতর্ক করেন, সে সময় জাহাজের গতিপথ পাল্টেও কিছু করার ছিল না।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাস্তবে ঘটেছিল পুরো উল্টোটাই। গবেষকরা বলছেন যে, জাহাজের গতিমুখ পাল্টালে কী ঘটতে পারে, তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন মার্ডক। তিনি হয়তো ভেবেছিলেন, এক বিপদ হতে বাঁচতে গিয়ে আরও বড় কোনো বিপদে পড়তে পারে টাইটানিক। সে কারণেই হয়তো তিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না। আর সে সময়টি ছিল মাত্র ৩০ সেকেন্ড সময়। এই সময়ের মধ্যেই ঘটে যায় ইতিহাসের সেই মর্মান্তিক ঘটনা। যা আজও মানুষের হৃদয়ে গেঁথে রয়েছে।