দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যদিও আমরা এমন কথা আগে বোধহয় শুনিনি। তবে এবার ঠিক এমন ঘটনা ঘটেছে। ভারতের মহারাষ্ট্রে মসজিদে আযান দেওয়াকে কেন্দ্র করে মামলার ঘটনা ঘটেছে।
সেখানকার অকোলাতে মসজিদে মাইকে আযান দেওয়াকে কেন্দ্র করে এক বিবাদ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে লাউডস্পিকারে ফজরের আযান দেওয়ায় তাতে কিছু লোক আপত্তি জানালে পুলিশ মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এফআইআর করা হয়েছে ওই অকোলার গরীব নওয়াজ মসজিদের বিরুদ্ধেও। এই ঘটনার পর ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে অত্র এলাকায়।
গত শনিবার গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রকাশ পায় যে, অকোলার খাদান পুলিশ স্টেশনে মসজিদ হতে উচ্চ আওয়াজে আযান দেওয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসার পর হতেই পুলিশ এই ব্যাপারে তৎপরতা শুরু করে। পুলিশের দাবি করে বলেছে, মসজিদ হতে ৪৫ ডেসিবলের বেশি ধ্বনিতে আওয়াজ করা হচ্ছে যা অবৈধ।
অপরদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, কিছু দুর্বৃত্ত ও কট্টরপন্থিদের চাপে পড়ে পুলিশ এই ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছে। তা না হলে সারাদেশে ফজরের আযান লাউড স্পিকারে দেওয়া হলেও কোথাও এ নিয়ে কারো বিরুদ্ধে মামলা করতে দেখা যায়নি কখনও।
স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ স্রেফ নিজেদের পদক্ষেপকে সঠিক বলে প্রমাণ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আদেশের উদ্ধৃতি দিচ্ছে। আসলে দুর্বৃত্ত, মস্তান তথা কট্টরপন্থিদের চাপের মধ্যে পড়ে পুলিশ ওই পদক্ষেপ নিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনি প্রচারে এলে খড়্গপুরে এক জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় স্থানীয় মসজিদ হতে মাইকে আযান শুরু হলে তিনি এ সময় বক্তব্য বন্ধ করে দেন। এ সময় প্রায় ৫ মিনিট ৩০ সেকেন্ড বক্তব্য বন্ধ রাখার পর আযান শেষ হলে তিনি পুনরায় বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন।