দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের কিডনি থাকে ২টি। আর সেটিই স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু এবার খবর বেরিয়েছে ১৭ বছরের চীনা মেয়ের শরীরে পাওয়া গেছে চারটি কিডনি!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, চীনের ১৭ বছরের ওই মেয়ে জিয়াওলিনের পিঠে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে এমনই অদ্ভূত ঘটনাটি ধরা পড়ে।
ছোটবেলা হতে এর জন্য জিয়াওলিন কোনো অসুবিধাই হয়নি। হঠাৎ করে পিঠে ব্যথা শুরু হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করে তার এই বিস্ময়কর অ্যানাটমির ছবিটা ধরা পড়ে। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত এক চিকিৎসকের বক্তব্য হলো, চিকিৎসার পরিভাষায় একে বলে ‘রেনাল ডুপ্লিকেট মনস্ট্রোসিটি।’
চিকিৎসক জানিয়েছেন, এই ধরনের অতিরিক্ত শারীরিক প্রত্যঙ্গ নিয়ে জন্মানো মানুষের সংখ্যা খুবই কম। তার উপর, যদি দেড় হাজার মানুষের মধ্যে এই প্রত্যঙ্গগত বিড়ম্বনা কিংবা উপসর্গ থেকে থাকে, তাতে বাড়াবাড়ি কিছু ঘটলেও মাত্র একজনের মৃত্যু হয়।
চিকিৎসক আরও জানান, অনেক মানুষ তো তাদের সারা জীবনে জানতেও পারেন না যে, তাদের দেহের অভ্যন্তরে এ ধরনের অতিরিক্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এঁটুলির মতো লেগে রয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, বাস্তবিক অতিরিক্ত কিডনিগুলি রেচনের কাজে অংশ নেয় না। এটি অনেকটা অ্যাপেনডিক্সের মতো তারা কেবলমাত্র আসল কিডনিদ্বয়ের সঙ্গে জুড়ে থাকে। মূল কিডনি দুটি হতে তাদের বিচ্ছিন্ন করাও অসম্ভব বলে এক চিকিৎসক জানিয়েছেন। যদি আসল কিডনি দুটির কোনোটি খারাপ হয়, তাহলে অতিরিক্ত কিডনিদ্বয়কে সক্রিয় করা নাকি চিকিৎসাবিজ্ঞান অনুসারে সম্ভব।
শল্যচিকিৎসকরা অবশ্য জিয়াওলিনের অতিরিক্ত কিডনি দুটি কেটে ফেলে দিয়েছেন।