দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণত কাঁচা-পাকা দুধরনের আমই পাওয়া যায়। দুই ধরনের আমেরই পুষ্টিগুণ বিশ্লেষণ করে শেষ করার নয়। আম শুধু স্বাদেই নয়, নানা গুণে আর উপকারিতায়ও ভরপুর। তবে গবেষকরা বলছেন, পাকা আম খাওয়া ভালো, তবে খুব বেশি খাওয়া ঠিক নয়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আম থাকবে “রেড লিস্টে”।
প্রিয় ফল খেতে যদি কেউ মানা করেন কিংবা স্বাস্থ্যজনিত কারণে চিকিৎসকই নিষেধ করেন, তাহলে কেমন লাগবে! আর ফলটি যদি হয় আম! গবেষকরা বলছেন, পাকা আম খাওয়া ভালো, তবে খুব বেশি খাওয়া ঠিক নয়। পাকা আমে রয়েছে নানা ভিটামিন। যেমন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন এ বা বিটা ক্যারোটিন। আবার রয়েছে উচ্চমাত্রার চিনি, কার্বোহাইড্রেড ও গ্লাইসেমিক। তাছাড়া পাকা আমে ফিনোলিকস জাতীয় উপাদান থাকার কারণে তা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস।
ভিটামিন থাকার কারণে আম যেমন উপকারী, তেমনি চিনি থাকার কারণে এটি উচ্চ ক্যালোরিসমৃদ্ধ। এটিই হচ্ছে সতর্কতার কারণ। পাকা আম অতিরিক্ত খেলে ওজন বেড়ে যাবে। বেড়ে যাবে রক্তে শর্করার পরিমাণ। রক্তে সুগারের পরিমান ও বেড়ে যাবে। আমের আরও উপাদান হচ্ছে, ফিটোকেমিকেল কম্পাউন্ড তথা গ্যালিক অ্যাসিড, ম্যাঙ্গফেরিন, কোয়ার্নেটিন এবং টেনিন বা কষজাতীয় উপাদান। এ উপাদানগুলো ক্ষতিকর।
আবার গ্রীষ্মের সময় পানিশূন্যতা কিংবা হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক। এ সমস্যা এড়াতে প্রচুর পানি পানের পাশাপাশি তাজা ফল খাওয়ার কথা বলছেন গবেষকরা।
সূত্রঃ দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস