দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গায়ের রং সবার এক রকম হয় না। কেও কালো, কেও ফর্সা আবার কেও শ্যামলা। সবই সৃষ্টিকর্তার দান। তাই বলে কালো হওয়ায় পুড়িয়ে মারতে হবে? এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে।
আমাদের সমাজে কালোকে অনেকেই পছন্দ করেন না। তাই মাঝে-মধ্যেই আমাদের সমাজে ঘটে নানা ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা।
এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতের বীরভূমে। সেখানে ‘নিরুপমা’ নামে এক গৃহবধুকে মরতে হলো তার গায়ের রং ‘কালো’ বলে। পঞ্চায়েত, সালিশি সভায় আদিবাসী এক মহিলাকে নির্যাতন করার পর এবার জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে! ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার এক গ্রামের।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গায়ের রং কালো হওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন পুড়িয়ে মারে এক সন্তানের জননী ২২ বছরের যুবতী নিরুপমাকে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ছেলের আবার বিয়ে দিয়ে ফর্সা বউ ঘরে আনবে!
মৃত্যুর সময় দেওয়া এক জবানবন্দিতে নির্যাতিতা মেয়েটি পুলিশকে জানিয়েছেন, ৩ জুন রাতে তার স্বামী ও ৩ দেবর, শাশুড়ি তাকে একটা ঘরের মধ্যে প্রথমে আটকে রাখে। তারপর চারদিকে কেরোসিন ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পরের দিন সকালে মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। অভিযুক্ত স্বামী নাসির শেখ এবং বাকি শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত করে জানতে পেরেছে, ৩ বছর পূর্বে নির্যাতিতা তরুণীর সঙ্গে ১ লাখ টাকা ও ১০ কাঠা জমি পণের বিনিময়ে বিয়ে হয় নাসিরের। তবে বিয়ের পর থেকেই বাপের বাড়ি হতে আরও টাকা আনার জন্য অত্যাচার শুরু করে নাসির এবং তার পরিবারের লোকজন। এর এক পর্যায়ে ঘটে এমন লোমহর্ষক ঘটনা। এমন ঘটনা বর্তমান এই সভ্য সমাজকে থমকে দিয়েছে।