দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আসলে বলা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিন্তু বাস্তবে মানুষকে আরও অসামাজিক করে তোলা হচ্ছে। কারণ এই মাধ্যমটি নেশাগ্রস্থ করে তুলছে যুব সমাজকে।
সংবাদ মাধ্যমগুলো এমন একটি খবর দিয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সবগুলো নোটিফিকেশন দেখে ঘুমান। আবার সকালে ঘুম হতে উঠেই ফেসবুক লগইন করেন- এটি ঘটে অনেকের ক্ষেত্রেই। সারারাত জমে থাকা নোটিফিকেশনগুলো দেখেই মূলত দিন শুরু করেন অনেকেই।
ঠিক এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে সামাজিক মাধ্যমের প্রতি অতিমাত্রায় নির্ভরশীলতার বিষয়টি। এটি আসলে আমাদের ক্ষতি করছে? নাকি উপকার করছে? এই বিষয়টি নিয়েই মূলত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট বিগ থিংক ডটকম।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল ক্ল্যারিটি সম্প্রতি একটি জরিপ পরিচালনা করে এই বিষয়টি নিয়ে। ১৩০০ মানুষের ওপর চালানো এই জরিপে ইন্টারনেট এবং সামাজিক মাধ্যমের প্রতি মানুষের আসক্তির বিষয়টি জনসমক্ষে উঠে এসেছে।
জরিপের ফলাফলে দেখা যায় যে, ১৮ হতে ২৫ বছর বয়সীরা দৈনিক গড়ে ১৫ ঘণ্টা অনলাইনে সময় ব্যয় করেন। যে কারণে মানসিক নানা রকম পরিবর্তন ঘটছে তাদের মধ্যে। তারমধ্যে রয়েছে অযথা অতিরিক্ত সময় নষ্ট করা, সময়জ্ঞান না থাকা, পরিবার হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এবং অফলাইনে থাকলে একধরনের অস্থিরতায় ভোগা ইত্যাদি।
জরিপে অংশ নেওয়া এক ব্রিটিশ ছাত্রী মেলিসা স্কট মনে করেন, তিনি রীতিমতো ইন্টারনেটে আসক্ত। তিনি বলেছেন, ‘আমি যতোক্ষণ জেগে থাকি সব সময়ই অনলাইনে থাকি। অফলাইনে গেলে আমার মধ্যে হতাশা কাজ করে ও তখন নিজেকে অসুস্থ মনে হয়।’
ঠিক একইভাবে যারা ভিডিও গেমে আসক্ত, তারাও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন পরিবারের অন্যদের থেকে। বিশেষ করে কিশোর এবং তরুণরাই ভিডিও গেমে আসক্ত হয়ে পড়ছে বেশি।
তাই ওই গবেষণা থেকে উঠে এসেছে এমন একটি চিত্র। নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতি এমনভাবে আসক্তির কারণে পারিবারিক যোগাযোগ হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন যুবকরা। আর তাই দিনে দিনে তারা অসামজিকে পরিণত হচ্ছে।