দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘটনাটি আমাদের খুব নিকটে ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যের মুসৌরির পাহাড়ের ওপর লম্বি দেহর খনিতে। মৃত্যুকে হাতছানি দেওয়া এক অভিশপ্ত পাহাড়ের কথা রয়েছে আজ!
বিষয়টি আশ্চর্য লাগলেও স্থানীয়রা দাবি করে বলেছেন যে, এক নারীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জন্যই নাকি এক রাতের মধ্যে প্রাণ যায় খনির হাজার পঞ্চাশেক শ্রমিকের!
জানা যায়, ব্রিটিশ আমলে যে সাহেব ছিলেন এই খনির লিডার, তার স্ত্রী নাকি লিপ্ত ছিলেন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে। প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে একদিন তিনি স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে আসেন এই খনিতে। নির্দিষ্ট জায়গা হতে একটা বড় পাথর সেই প্রেমিক গড়িয়ে দেয় তাদের দিকে। স্ত্রী সরে গেলেও ওই সাহেব নিজের প্রাণ বাঁচাতে পারেননি। স্থানীয়রা মনে করেন, তার প্রেতাত্মা আজও বাস করছে এই খনিতে। তিনি না কি কোনও পুরুষকেই বিশ্বাস করতেন না। তাই সেই রাগ হতেই সাহেবের প্রেতাত্মা হাজার পঞ্চাশেক শ্রমিকের জীবন নিয়ে নিয়েছে!
আবার অনেকে বলেন এক স্থানীয় মহিলার কথা। এই গল্পটাও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের মতোই! সেই মহিলাকে তার প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থা দেখে ফেলেন স্বামী! ভয়ে সেই মহিলা পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেয় খনির ভেতর অন্ধকারে। একদিন তার কানে আসে গ্রামের দুই শিশু হত্যার কথা। বাবা নাকি ওই দুই শিশুকে মেরে ফেলেছে!
মহিলাটি পরে পুরোটা শোনে! তিনি বুঝতে পারেন, ওরা তারই ছেলে-মেয়ে! তখন অনুশোচনায় সেও আত্মহত্যা করে। তবে খনির শ্রমিকদের উপরে তার রাগ যায়নি! সেই রোষেই নাকি মুখে রক্ত তুলে এক রাতের মধ্যে মৃত্যু হয় খনির সব শ্রমিকের!
১৯৯৬ সাল হতে বন্ধ পড়ে রয়েছে এই খনিটি। এখনও নাকি ওই খনিতে শোনা যায় দীর্ঘশ্বাস, চাপা কান্নার আওয়াজ। কখনও কখনও শোনা যায়, ক্রুদ্ধ চিৎকারও! বোঝা যায়, কেও অনুসরণ করছে!
ইচ্ছে করলে, উত্তর ভারতের মুসৌরি গেলে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন লম্বি দেহর! তবে খনির ভিতরে ঢোকার আগে একবার ভেবে নেবেন!
উল্লেখ্য, ১৮২৩ সালে ব্রিটিশদের দ্বারা উত্তরাখন্ড রাজ্যে অবস্থিত মুসৌরি একটি শৈল শহর রূপে স্থাপিত হয়। এটি ভারতের এক অন্যতম জনপ্রিয় শৈল শহর হিসেবে খ্যাত।