দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফেসটাইম অ্যাপটি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থান চলাকালে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ফেসটাইম অ্যাপ ব্যবহার করে সংবাদমাধ্যমে সরাসরি সাক্ষাৎকার দেওয়া নিয়ে। ধারণা, এরদোয়ানের এই সাক্ষাৎকারই অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করে দেয়।
ওই ঘটনার পর থেকে সকলের ধরণা জন্মে যে, এরদোয়ানের সবচেয়ে মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে কাজ করেছে এই ফেসটাইম অ্যাপ।
এরদোয়ান নিজে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর সব সময় নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে চলেছেন। তবে বিপদের সময় এই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করেই নিজেকে রক্ষা করেছেন এরদোয়ান। এরদোয়ানের প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে ‘ফেসটাইম’ অ্যাপটি সম্পর্কে সাধারণ মানুষদের আগ্রহ আরও অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে।
ফেসটাইম মূলত একটি ভিডিও কলিং অ্যাপ যেটি মূলত অ্যাপলের আইওএস ও ম্যাকিন্টোশ অপারেটিং সিস্টেমে চলে। ভিডিওর পাশাপাশি এই অ্যাপটির একটি অডিও ভার্সনও রয়েছে। এই অডিও ভার্সন দিয়ে শুধু অডিও কল করা যায়। অ্যাপলের তৈরি আইফোন, আইপ্যাড ও ম্যাকিন্টোশ কম্পিউটারেও ব্যবহার করা যায় এই অ্যাপটি।
২০১০ সালের ৭ জুন অ্যাপলের তৎকালীন প্রধান নির্বাহী স্টিভ জবস ফেসটাইম অ্যাপটির সঙ্গে সকলকে পরিচয় করিয়ে দেন। আইফোন ৪ মডেলে প্রথমে এই অ্যাপটি ব্যবহার করা হয়।
২০১০ সালের ২০ অক্টোবর ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমের ফেসটাইম সংস্করণ ঘোষণা করা হয়। ২০১১ সালের মার্চে প্রথমবারের মতো আইপ্যাড ২-এর জন্য উন্মুক্ত করা হয় এই অ্যাপটি।
তবে অ্যাপলের আইওএস কিংবা ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া ফেসটাইম অ্যাপটি চালানো সম্ভব নয়। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানও আইফোনের মাধ্যমে ওই সাক্ষাৎকারটি দিয়েছিলেন।
অ্যানড্রয়েড অপারেটিংয়ে চালিত অন্যান্য ভিডিও কলিং অ্যাপ হচ্ছে স্কাইপে, ফেসবুক মেসেঞ্জার, ভাইবার ইত্যাদি। তবে স্কাইপেতে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে ভিডিও কল করা গেলেও, ফেসটাইমে সেরকম কোনো সুবিধা নেই। ফেসটাইম ব্যবহার করে শুধু দু’জন ব্যক্তি ভিডিও কল করতে পারেন। তবে ফেসটাইমে ভিডিও কল করার মধ্যে ফোনে যদি কোনো কল, মেসেজ কিংবা নোটিফিকেশন আসে ব্যবহারকারীরা তা দেখতে পান।
আবার আইওএস ৬-এর মাধ্যমে ওয়াইফাই সংযোগ ব্যবহার করে ফেসটাইম অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধাও চালু রয়েছে।
উল্লেখ্য, ফেসটাইম অ্যাপের আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো নিজের অবস্থান গোপন রেখে অন্যের সঙ্গে এই অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করা সম্ভব।