দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তথ্য প্রযুক্তির কারণে এখন আর ডাক বিভাগের কোনো কদর নেই। তাই ডাক বিভাগকে আধুনিকায়নের কাজ চলছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে ঘরে বসেই জানা যাবে ডকুমেন্টের অবস্থান!
এই বিষয়টি উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, ডাক বিভাগকে তিনটি প্রকল্পর মাধ্যমে আধুনিক করার কাজ এগিয়ে চলেছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জনগণ অধিকতর উন্নত ডাকসেবা পাবেন এবং গ্রাহকরা ঘরে বসেই চিঠির ট্র্যাকিং এন্ড ট্রেসিং এর মাধ্যমে চিঠির গন্তব্যসহ যাবতীয় তথ্য যেনে নিতে পারবেন।
গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের একাদশতম অধিবেশনে (মুন্সিগঞ্জ-১) সুকুমার রঞ্জন ধোষ- এর প্রশ্নের জবাবে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
তারানা হালিম এ সময় আরও বলেন, পোস্ট ই-সেন্টার ফর রুরাল কমিনিটি শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে ৫ হাজার ৫০৬টি ডাকঘরে ই-সেন্টার চালু করা হয়েছে। আগামী ২০১৭ সালের জুন মাসের মধ্যে ৮ হাজার ৫০০টি পোস্ট অফিসকে ই-সেন্টারে রুপান্তরের প্ররিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
তারানা হালিম বলেন, পোস্ট ই-সেন্টারের মাধ্যমে গ্রাম ও শহরের মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইড দূর হবে। গ্রামাঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। গ্রাম পর্যায়ে পোস্ট ই-সেন্টারে ইন্টারনেট সুবিধা ব্যবহার করে বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফল, কৃষি, শিক্ষা এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য খুব সহজে জানতে পারবে জনগণ।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গ্রাম হতে অনলাইনের সুবিধাদি, ওয়েব ক্যামের মাধ্যমে বিদেশে আত্মীয় সজনের সঙ্গে কথোপকথনের সুবিধা, বৈধ বিদেশ হতে আগত রেমিটেন্স-এর সুবিধাও প্রদান করা হবে। পোস্টাল ক্যাশ কার্ড ইএমটিএস, মোবাইল ব্যাংকিং নানা ধরনের সুবিধা ই-সেন্টারে প্রদান করা হবে।
তারানা হালিম আরও বলেন, তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর গ্রামীণ ডাকঘর নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে ১৭৩টি আইসিটি বেইজড রুরাল পোস্ট অফিসের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১৮০টি নতুন টেন্ডার করা হয়েছে। জুন ২০১৭ এর মধ্যে আরও ১ হাজারটি তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর গ্রামীণ ডাকঘর নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।