দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক এবার টিন-এজারদের জন্য নিয়ে এলো এক নয়া অ্যাপ।
জানা গেছে, লাইফস্টেজ নামের এই অ্যাপটি বর্তমানে আইফোন-ইউজাররাই ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এই অ্যাপটি ফেসবুকের পুরনো সংস্করণের মতো দেখতে বলে দাবি করেছেন অনেকেই। তবে এই অ্যাপটিতে ভিডিও-র উপর আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এই অ্যাপের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ফেসবুক এক ব্লগ পোস্টে বলেছে, এই অ্যাপটি মূলত এক ধরনের ভিডিও ডায়েরি। একটি নির্দিষ্ট গ্রুপের মধ্যে ইউজাররা বিভিন্ন বায়োগ্রাফিক্যাল প্রশ্ন করতে এবং উত্তর দিতে পারবেন। এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে হলে একজন ইউজারের বয়স ২১ বছর কিংবা তার কম হতে হবে। কারও বয়স যদি ২২ বৎসর হয়ে যায়, তখন সেই ইউজারকে কিভাবে বাদ দেওয়া হবে, সে বিষয়ে অবশ্য ব্লগে বিস্তারিত কিছুই জানায়নি ফেসবুক। তবে বায়ো তৈরি করার ক্ষেত্রে টেক্সট-এর পরিবর্তে ব্যবহার করা যাবে ভিডিও।
এতে রয়েছে লাইক, ডিসলাইক, বেস্ট ফ্রেন্ডস অপশনও। যে কোনও ভিডিও রেকর্ড করে আবার প্রোফাইলে ‘অ্যাড’ করা যাবে। হাই স্কুল পড়ুয়াদের জন্য এই অ্যাপটিতে বিশেষ ডিজাইন করা হয়েছে। অন্তত ২০ জন ইউজার কোনও একটি স্কুলকে বেছে নিলে তবে সেই স্কুলের পড়ুয়ারা একে অপরের প্রোফাইল দেখতে পারবেন। ঠিক এভাবেই জন্ম নিয়েছিল ফেসবুক!
জানা গেছে, এই অ্যাপটির জন্ম দিয়েছেন ফেসবুকের মাত্র ১৯ বছর বয়সী প্রোডাক্ট ম্যানেজার মাইকেল সেম্যান। মাত্র ১৩ বছর বয়সে তিনি ‘কোডিং’ শুরু করে, তৈরি করেন 4Snaps নামের একটি ফটো অ্যাপ। মাত্র তিনজন ইঞ্জিনিয়ার ও একজন ডিজাইনারকে সঙ্গে নিয়ে গত দু’বছর ধরে নতুন এই অ্যাপটি তৈরি করেছেন সেম্যান। এই অ্যাপের সাহায্যে স্কুল পড়ুয়ারা ভিডিও প্রোফাইল তৈরি করতে পারবেন। অনেকটা স্ক্র্যাপবুকের মতোই। একই স্কুলের বন্ধুরা একটি গ্রুপের মধ্যেই যুক্ত হতে থাকবেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ঠিক এভাবেই একদিন জন্ম নিয়েছিল ফেসবুক। এখন আবার জন্মলগ্নের নীতিকেই আঁকড়ে ধরে নয়া প্রজন্মের কাছে অপরিহার্য হতে চাইছে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক। তবে যদি কোনও ইউজার নিজের স্কুল বাদ দিয়ে অন্য কোনও স্কুলের গ্রুপে যুক্ত হতে চাই তাহলে কীভাবে সেটি আটকানো সম্ভব হবে সে বিষয়ে অবশ্য কিছুই জানানো হয়নি ফেসবুকের ওই ব্লগ পোস্টটিতে৷