দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক জরিপে উঠে এসেছে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মাংস খাওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রে। এর পরেই রয়েছে সবচেয়ে কম মাংস খাওয়া দেশের নাম আর সেটি হলো বাংলাদেশ।
এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, একজন মার্কিনী প্রতিবছর গড়ে ১২০ দশমিক ২ কেজি মাংস খেয়ে থাকে। অপরদিকে মাংস সবচেয়ে কম খাওয়া হয় বাংলাদেশে। একজন বাংলাদেশী প্রতিবছর গড়ে মাত্র ৪ কেজি মাংস খেয়ে থাকে বা খেতে পায়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতীয়রাও এর চেয়ে বেশি মাংস খায় (৪ দশমিক ৪ কেজি)।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে মাংস গ্রহণের দিক হতে শীর্ষে থাকা ১০টি দেশের কথা উল্লেখ করা হয়। একইভাবে সর্বনিম্ন মাংস গ্রহণের ১০টি দেশের কথাও উল্লেখ রয়েছে ওই রিপোর্টটিতে।
বিশ্ব খাদ্য সংস্থার ২০০৯ সাল পর্যন্ত করা একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই এই তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে। এখানে মাংস বলতে যেকোনো প্রাণীর মাংসকেই বোঝানো হয়েছে।
তালিকা অনুযায়ী মাংস গ্রহণের শীর্ষ দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পর রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের খুব ছোট দেশ কুয়েত। যেখানে মাংস গ্রহণের হার প্রতিবছর মাথাপিছু ১১৯ দশমিক ২ কেজি। ক্রম অনুসারে শীর্ষ ১০-এ থাকা অপর দেশগুলো হলো-
অস্ট্রেলিয়া (১১১ দশমিক ৫ কেজি)
বাহামাস (১০৯ দশমিক ৫ কেজি)
লু·েমবার্গ (১০৭ দশমিক ৯ কেজি)
নিউজিল্যান্ড (১০৬ দশমিক ৪ কেজি)
অস্ট্রিয়া (১০২ কেজি)
ফরাসি পলিনেশিয়া (১০১ দশমিক ৯ কেজি)
বারমুডা (১০১ দশমিক ৭ কেজি)
আর্জেন্টিনা (৯৮ দশমিক ৩ কেজি)।
অপরদিকে মাংস গ্রহণে সর্বনিম্ন দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের আগে রয়েছে ভারত। দেশটিতে মাংস গ্রহণের হার প্রতিবছর মাথাপিছু ৪ দশমিক ৪ কেজি। ক্রম অনুসারে অপর দেশগুলো হলো:
বুরুন্ডি (৫ দশমিক ২ কেজি)
শ্রীলঙ্কা (৬ দশমিক ৩ কেজি)
রুয়ান্ডা (৬ দশমিক ৫ কেজি)
সিয়েরালিয়ন (৭ দশমিক ৩ কেজি)
ইরিত্রিয়া (৭ দশমিক ৭ কেজি)
মোজাম্বিক (৭ দশমিক ৮ কেজি)
গাম্বিয়া (৮ দশমিক ১ কেজি)
মালাওয়ি (৮ দশমিক ৩ কেজি)।