দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চীন ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম মহাকাশ বিমান কিংবা স্পেস বিমান বানানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
চীন বাণিজ্যিকভাবে মহাকাশ ফ্লাইট শুরুর অংশ হিসেবে মূলত এই পরিকল্পনা নিয়েছে। গত মাসে মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল কংগ্রেসে এ সংক্রান্ত বিষয়টি তুলে ধরেছে চীন। ইতিমধ্যে বেইজিং’র চায়না অ্যাকাডেমি অব লাঞ্চ ভেহিকেল টেকনোলজি এই মহাকাশ বিমানের নকশা প্রণয়ন করেছে।
ব্রিটেনের বিজ্ঞান সাপ্তাহিক নিউ সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, দৈনিক অন্তত ২০ জন যাত্রী নিয়ে এই বিমান ভূপৃষ্ঠ হতে ৮০ মাইল উপর পর্যন্ত যাতায়াত করবে। যাত্রাপথে যাত্রীরা প্রায় ৪ মিনিট ওজনহীন অবস্থা অনুভব করবে। বিমানটি খাড়াখাড়িভাবে নামতে ও উড়তে পারবে।
এই বিমানের একটি ছোট সংস্করণের কথাও জানানো হয়। সর্বোচ্চ ৫ জন যাত্রী নিয়ে ঊর্ধ্বাকাশে ৬২ মাইল পর্যন্ত যাতায়াত করবে এটি। এতে করে যাত্রীরা দুই মিনিট ওজনহীন অবস্থা অনুভব করবেন। চীনা মহাকাশ বিমানের ভূপৃষ্ঠ সব রকম পরীক্ষা সফলভাবেই শেষ হয়েছে। আগামী দু’বছরের মধ্যে মহাকাশ বিমানের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সম্পন্ন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
তবে এই বিমানে মহাকাশ ভ্রমণ সস্তা হবে না। এই ভ্রমণে যাত্রী পিছু দুই হতে আড়াই লাখ ডলার লাগবে। চীন ছাড়া বিশ্বের আরও অনেক সংস্থা বাণিজ্যিকভাবে মহাকাশ ভ্রমণের বিষয়ে পরিকল্পনা করছে। যে কারণে এই ক্ষেত্রে চীনকে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।