দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের উন্নত বিভিন্ন দেশের আদলে এবার বাংলাদেশে চালু হলো প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা সম্বলিত স্মার্টবাস। তথ্যপ্রযুক্তিতে দেশকে আরেও এগিয়ে নিতে নতুন ও ভিন্নধর্মী এই পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
আশা প্রকাশ করা হচ্ছে, ‘টেকসই নারী উন্নয়নে আইসিটি’ স্লোগান নিয়ে এই বাস পৌঁছে যাবে দেশের তরুণী এবং মেধাবী নারীদের তথ্যপ্রযুক্তির মৌলিক প্রশিক্ষণ দিতে।
জানা গেছে, ল্যাপটপ, বড় এলইডি স্ক্রিণের টিভি, সাউন্ড সিস্টেম, ওয়াইফাই ইন্টারনেটসহ তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণের সব রকম আয়োজন নিয়ে পূর্বেই প্রস্তুত ছিল ৪টি স্মার্টবাস।
বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন এই ‘স্মার্টবাস’। বর্তমানে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) দক্ষিণ এশিয়ার বড় এই প্রযুক্তি উৎসব ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে দর্শনার্থীদের প্রদর্শনী শেষে ‘টেকসই নারী উন্নয়নে আইসিটি’ স্লোগান নিয়ে পৌঁছে যাবে দেশের তরুণী এবং মেধাবী নারীদের তথ্যপ্রযুক্তির মৌলিক প্রশিক্ষণ দিতে।
জানা গেছে, সাউন্ড প্রুফ ও এয়ারকন্ডিশন ব্যবস্থা সহ বিশেষ এই বাসগুলোতে প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীর জন্য থাকছে একটি করে ল্যাপটপ। এছাড়া রয়েছে নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ সামগ্রী, প্রশিক্ষণ সফটওয়্যার এবং সার্বক্ষণিক জেনারেটরের ব্যবস্থা।
সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ, মোবাইল ফোন অপারেটর রবি এবং বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা কোম্পানি হুয়াওয়ে টেকনোলজিস বাংলাদেশ লিমিটেড যৌথভাবে এই স্মার্টবাস চালু করলো।
তথ্যে জানা যায়, এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ৬টি বাস। এগুলোর মাধ্যমে দেশের ৬৪টি জেলার ২ লাখ ৪০ হাজার তরুণী এবং মেধাবী নারীদের তথ্যপ্রযুক্তির মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
প্রতিটি বাসে একই সঙ্গে ২৫ জনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাসগুলো নির্দিষ্ট রুটে চলাচল করবে। বছরে ৪০ সপ্তাহ কার্যক্রম চালাবে এই ‘স্মার্টবাস’গুলো।
জানা গেছে, স্থানীয় প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা এবং চাহিদার ওপর ভিত্তি করে প্রতিটি স্থানে এক কিংবা দুই দিনের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষণ শেষে ওই এলাকার তরুণ শিক্ষার্থীদের মাঝে তথ্যপ্রযুক্তি সচেতনতা বৃদ্ধিতে বাসগুলো নিয়ে রোড শো’ও করা হবে।
জানানো হয়েছে, এই ৬টি বাসের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ, রবি এবং হুয়াওয়ে প্রত্যেকের দুটি করে বাস থাকবে। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের তত্ত্বাবধানে বাসগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করবে রবি এবং হুয়াওয়ে।