দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের যাত্রাপুর গ্রামের তোরাব আলীর ছেলে মিরাজুল ইসলাম। পায়ে লিখে পড়ালেখা করে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন!
মিরাজুল ইসলাম ১ নভেম্বর শুরু হওয়া জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে চান্দাই উচ্চ বিদ্যালয় হতে পা দিয়ে লিখে পরীক্ষা দিচ্ছে। জন্ম থেকেই মিরাজুলের হাত নেই। সে কারণে সে লেখে পা দিয়ে।
সাংবাদিকদের মিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, বড় হয়ে সে চিকিৎসক হতে চায়। প্রতিবন্ধি হয়েও মানুষকে সেবা দিতে চায়। এলাকার দ্ররিদ্র মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসায় সহায়তা করতে চায় মিরাজুল।
মিরাজুলের মা সূর্যা খাতুন জানিয়েছেন, হাত না থাকলেও সব কাজ নিজেই করে সে। ২০০৩ সালের ২৪ জুলাই মিরাজের জন্ম হয় হাত ছাড়াই। আমরা লেখাপড়া জানি না। অভাব অনটনের মধ্যেও তারে স্কুলে পাঠাচ্ছি।’
মিরাজুলের স্কুল যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসলাম হোসেন জানান, ২০০৮ সালে মিরাজুল এই বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলো। তখন থেকেই লেখাপড়ার প্রতি তার আগ্রহ দেখে শিক্ষকরা মুগ্ধ হন। তিনি বলেছেন, ‘সে পড়ায় ভালো, স্মরণশক্তিও প্রখর। সে জেএসসি পরিক্ষা দিচ্ছে।’
অপরদিকে চান্দাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফ আলী বলেছেন, মিরাজুল লেখাপড়ায় অত্যন্ত ভালো। ওর লেখাপড়ার প্রতি তাই আমরা বিশেষ নজর রাখছি।
মিরাজুলের বাবা তোরাব আলী বলেছেন, ‘আমার একটাই আশা মিরাজুল লেখাপড়া করে বড় হলে সরকার যেনো একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেয় আমার অসহায় ছেলেডার।’
আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলীমুন রাজীব বলেছেন, মিরাজুলের লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ দেখে আমরা অভিভূত হয়েছি। মিরাজুলকে সরকারি অনুদান দেওয়া হবে।