দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের উপকূলে বৃহস্পতিবার ১৬ মে যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে তাতে ৫০ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ‘মহাসেন’ আঘাত হানার পর জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলায় সমন্বয় কেন্দ্র প্রাথমিকভাবে এ তথ্য দিয়েছে। প্রাণহানীর ঘটেছে ১৭ জনের।
তথ্য কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী ২৫৬ ইউনিয়ন সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে প্রায় ১৫ হাজার ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়। ৪৪ হাজার ঘর-বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সরাসরি ও আংশিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন ৫০ হাজার পরিবার।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা বলেছেন, ঘরবাড়ি হারিয়ে তারা দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন। গাছপালা, ফসল এবং চাষ করা মাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে এপর্যন্ত ১৭ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। সরকার বলছে, ঝড়ের বিপদ কেটে যাওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্র থেকে মানুষ এখন তাদের বাড়িঘরে ফিরে গেছে।
পটুয়াখালীর খেপুপাড়া এলাকায় ঘূর্ণিঝড় প্রথম আঘাত হেনেছিল। সেখানে ধনজুপাড়া নামের একটি গ্রামের সব কৃষক মিলে সমিতি করে ৪০ একর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছিলেন। তাদের সূর্যমুখী ফুলের ক্ষেত এখন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। বরগুনা এবং পটুয়াখালী অঞ্চলে চাষ করা মাছেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খেপুপাড়ার একটি ইউনিয়নের ১৩টি গ্রামের সব পুকুর এবং মাছের পোনার ঘের এখনো পানির নিচে রয়েছে। তবে সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর সূত্র বলেছে, এবারের ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলের ১০টি জেলায় ঘরবাড়ির বেশি ক্ষতি হয়েছে। তবে গাছপালা, ফসল বা অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান পেতে আরো সময় প্রয়োজন।
তথ্যসূত্র: চ্যানেল আই।