দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পৃথিবীর কক্ষপথ হতে বিপুল পরিমাণ আবর্জনা সরানোর জন্য পরীক্ষামূলকভাবে একটি মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করেছে জাপান। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সারস পাখি’।
পৃথিবীর কক্ষপথ হতে বিপুল পরিমাণ আবর্জনা অপসারণের জন্য স্বয়ংক্রিয় কার্গো মহাকাশযানটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘সারস পাখি’ বা জাপানি ভাষায় বলা হয় ‘কোনোতোরি’।
অ্যালুমিনিয়াম এবং স্টিলের তার দিয়ে তৈরি প্রায় ৭০০ মিটার লম্বা একটি দড়ির সাহায্যে মহাকাশে থাকা আবর্জনার গতি ধীর করে সেটিকে কক্ষপথ হতে সরিয়ে দেওয়া হবে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, মাছ ধরার জাল প্রস্তুতকারক একটি প্রতিষ্ঠানও এই যন্ত্রটি বানাতে সাহায্য করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, মহাকাশে ১০ কোটিরও বেশি নানা রকমের আবর্জনা রয়েছে, যার মধ্যে পুরনো স্যাটেলাইটের ফেলে দেওয়া যন্ত্রপাতি, রকেট বা স্যাটেলাইটের ছুটে যাওয়া বিভিন্ন ক্ষুদ্র অংশও রয়েছে।
এসব বস্তুর অনেকগুলোই পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ২৮ হাজার কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত উচ্চগতিতে চলছে এবং যেকোন সময় ক¶পথে থাকা স্যাটেলাইটের সাথে এগুলোর সংঘর্ষের মাধ্যমে বিশ্বের টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
১৯৫৭ সালে সোভিয়েত উৎক্ষেপিত প্রথম স্যাটেলাইট, স্পুৎনিক মহাকাশে পাঠানোর পর হতে গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এসব আবর্জনা মহাকাশে জমা হয়!
স্যাটেলাইটের মধ্যে সংঘর্ষ এবং স্যাটেলাইট ধ্বংসকারী অস্ত্রের পরীক্ষার কারণে এই অবস্থার আরও অবনতি ঘটেছে।
এই স্বয়ংক্রিয় কার্গো মহাকাশযানটির নাম দেওয়া হয়েছে সারস পাখি বা জাপানি ভাষায় কোনোতোরি।
গবেষকরা বলেছেন, পিচ্ছিল ও ইলেক্ট্রো ডায়নামিক দড়িটি কোনো বস্তুকে কক্ষপথ হতে সরিয়ে দেওয়ার মতো শক্তি উৎপাদন করবে। এসব আবর্জনাকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের দিকে ঠেলে দেবে। যে কারণে বস্তুগুলো সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গিয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে।