দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা নকল ডিমের কথা অনেক আগেই শুনেছি। তবে এবার তৈরি হচ্ছে প্লাস্টিকের চাল! সম্প্রতি নাইজেরিয়ার কাস্টমস কর্মকর্তারা ১০২ ব্যাগ নকল চাল জব্দ করেছেন!
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সবার কাছেই পরিচিত হয়ে উঠেছে নকল ডিম। তবে এবার দেখা যাচ্ছে ডিমের পাশাপাশি চালেরও নকল তৈরি হচ্ছে।
সম্প্রতি নাইজেরিয়ার কাস্টমস কর্মকর্তারা ১০২ ব্যাগ নকল চাল জব্দ করেছেন। এর মধ্যে পাওয়া যায় প্লাস্টিকের চালসদৃশ গুটি! ওই ব্যবসায়ী দেশের ভেতরে এগুলো চালান দিয়ে ক্রিসমাসের সময় এই চাল বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছিলো।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, প্রায় এক বছর যাবত মূল্যস্ফীতির কারণে চালের দাম প্রতিমাসেই বেড়ে চলেছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে। গত ডিসেম্বরে এক ব্যাগ চালের দাম যা ছিলো, বর্তমানে তা হয়ে উঠেছে প্রায় দ্বিগুণ। সে কারণে একেবারে সাধারণ খাবার জোগাড় করতেও হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী টাকা অর্জনের শর্টকাট উপায় হিসেবে কম দামে বিক্রি করার চেষ্টা করছে নিকৃষ্ট মানের এইসব বিপজ্জনক পণ্য।
লাগোসের কাস্টমস চিফ হারুনা মামুদু জানিয়েছেন, তাদের কর্মকর্তারা মোট ২.৫৫ টন চাল জব্দ করেছেন। যে চালের ব্র্যান্ডের নাম দেওয়া ছিলো “বেস্ট টমেটো রাইস”। এতে কোনো ম্যানুফ্যাকচারিং ডেটও ছিলো না। কর্মকর্তারা এই চাল সেদ্ধ করে দেখেন যে, এটি ঠিক চালের মতো নয়। যে কারণে এই চাল ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য।
দি গার্ডিয়ান বলেছে, মামুদুর ভাষ্যমতে: “আমরা এই চাল প্রাথমিক পর্যায়ে বিশ্লেষণ করেছি। সেদ্ধ করার পর এটা আঠালো হয়ে যায়, এই চালের ভাত মানুষ খেলে যে কি অবস্থা হতো তা একমাত্র ঈশ্বরই জানেন!”
তবে ওই কাস্টম কর্মকর্তারা এখনও জানতে পারেননি এই চাল আসলে কোথায় তৈরি হয়েছিলো। তবে নকল খাদ্যদ্রব্য তৈরিতে চীনের কুখ্যাতি রয়েছে। সে কারণে অনেকেই আঙ্গুল তুলছেন চীনের দিকে।
২০০৮ সালে দুধে মেলামাইন মেশানোর স্ক্যান্ডাল সকলের জানা। ২০১১ সালে কোরিয়া টাইমসের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছিলো চীনে এমন নকল চাল তৈরি হয়। এই রিপোর্টে বলা হয়, এই চাল তৈরিতে আলু, মিষ্টি আলু ও প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। চীনের বাজারেও নাকি প্রচুর বিক্রি হয় এই চাল!
নকল ডিমে যেমন কোনো রকম খাদ্যগুণ নেই, বরং মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, একই কথা এই চালের জন্যও প্রযোজ্য হবে।